ঢাকা     শুক্রবার   ১৭ মে ২০২৪ ||  জ্যৈষ্ঠ ৩ ১৪৩১

২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দেশনা অমান্য করে ভবনে প্রবেশের অভিযোগ

ইবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪  
২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দেশনা অমান্য করে ভবনে প্রবেশের অভিযোগ

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২৪ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইউনিট সমন্বয়কারী অফিস ও কন্ট্রোল রুম সংশ্লিষ্ট ভবনে রাত ৮টার পর প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়। ইউনিটটির কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মকর্তা ছাড়া সেখানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না বলে নির্দেশনা জারি করা হয়।

তবে এ নিষেধাজ্ঞা না মেনে এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে তালাবদ্ধ ভবনে প্রবেশ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় সেখানে দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা লিখিত অভিযোগ করেছেন।

আনসারদের অভিযোগসহ প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা থেকে নোট পেয়ে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রক্টর অফিস থেকে প্রশাসনের অবগতির জন্য অভিযোগ রেজিস্ট্রার দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, বিশ্বদ্যিালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ঝিনাইদহ আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার ফজলুল হক আইসিটি বিভাগের অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে এবং কুষ্টিয়া আনসার ক্যাম্পের প্লাটুন কমান্ডার আলতাফ হোসেন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু শিবলী মো. ফতেহ আলীর বিরুদ্ধে পৃথক অভিযোগ করেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত ২৬ এপ্রিল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ড. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে এবং রাত ১১টায় ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী অনুষদ ভবনে প্রবেশ করেন। ভবনে প্রবেশ করতে গেলে নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাদের প্রবেশ না করার অনুরোধ করলেও আনসারদের কথা অমান্য করে তারা প্রবেশ করেন। প্রশাসনিক সিন্ধান্ত অমান্য করে তারা প্রবেশ করলে বিষয়টি তাৎক্ষনিকভাবে নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় জরুরি নিরাপত্তা দায়িত্ব পালনে তাদের পক্ষে কষ্টসাধ্য ও ঝুঁকিপূর্ণ বলে লিখিত অভিযোগে দাবি করা হয়।

এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘ভবনে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমি জানতাম না। কিছু জরুরি কাগজপত্র অফিসে ফেলে গিয়েছিলাম। পরে সেগুলো নিতে অফিসে গেলে আনসাররা বলেছিল ভবনে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। পরে আমি প্রক্টরকে ফোন করে বিষয়টি জানিয়ে কাগজপত্রগুলো নিয়ে চলে আসি। প্রশাসন যদি এটা নিয়ে কোনোকিছু করে, তাহলে সে অনুযায়ী আমি আমার মন্তব্য জানাবো। আপনাদের কাছেও (গণমাধ্যমকর্মী) বিষয়টা গেছে, এতে আমি একটু অবাক হচ্ছি।’

ড. আবু শিবলী মো. ফতেহ আলী বলেন, “প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমাদের লিখিতভাবে কোনো ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আমি রাত ৮টার দিকে বিভাগীয় কাজে অফিসে গিয়েছিলাম। কিন্তু ভবনে প্রবেশের সময় দায়িত্বরত আনসাররা কিছুই বলেনি। পরে আমার রুমে একজন আনসার এসে বলে যে, প্রক্টর স্যার অনুষদ ভবনে কাউকে ঢুকতে নিষেধ করেছেন। কিন্তু আমি তৎক্ষনাৎ প্রক্টরকে ফোন দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আপনি যেহেতু বিভাগের কাজ করছেন। আপনি থাকেন, কোনো সমস্যা নেই।’”

এ বিষয়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে ভবনে প্রবেশ নিষেধ ছিল। আনসাররা বলার পরও ওই দুই শিক্ষক জোর করেই ভেতরে ঢুকেন। আমাকে যখন তারা ফোন দেন তখন তারা অলরেডি ভেতরে ঢুকে পড়েছেন। পরে ২৭ এপ্রিল আনসারদের অভিযোগসহ নিরাপত্তা কর্মকর্তা আমাকে একটি নোট পাঠায়। আমি সোমবার (২৯ এপ্রিল) এটি রেজিস্ট্রার বরাবর প্রেরণ করেছি। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। তবে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপার হওয়ায় প্রশাসন বিষয়টিকে খুবই গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে।’

/ইদুল/মেহেদী/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়