নিষ্ক্রিয় ঢাবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি, উৎকণ্ঠায় নেতাকর্মীরা
ঢাবি সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
![নিষ্ক্রিয় ঢাবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি, উৎকণ্ঠায় নেতাকর্মীরা নিষ্ক্রিয় ঢাবি ছাত্রদলের নতুন কমিটি, উৎকণ্ঠায় নেতাকর্মীরা](https://cdn.risingbd.com/media/imgAll/2024April/DU-JCD-news-2405280735.jpg)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নতুন কমিটির মেয়াদ প্রায় ৩ মাস হলেও চোখে পড়ার মত কোনো কার্যক্রমে ফেরেনি সংগঠনটি। কমিটি গঠনের পর দুটি প্রেস রিলিজ দেওয়া ছাড়া ক্যাম্পাসে সরব রাজনৈতিক কর্মসূচি দেখা যায়নি । ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচি না নেওয়াকে দূর্বলতা হিসেবে দেখছেন সংগঠনটির কর্মীরা।
গত ১ মার্চ বিএনপি’র জ্যেষ্ঠ যুগ্মমহাসচিব রহুল কবীর রিজভী'র সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গণেশ চন্দ্র রায় সাহসকে সভাপতি ও নাহিদুজ্জামান শিপনকে সাধারণ সম্পাদক করে আংশিক কমিটি গঠন করা হয়।
দলীয় নেতাকর্মীদের ভাষ্য মতে, ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের উপস্থিতি না থাকলে কর্মীরা মনোবল হারিয়ে ফেলবেন। হলগুলোতে ছাত্রলীগের একক নেতৃত্ব থাকায় ছাত্রদল প্রবেশ করলে ক্যাম্পাসে খারাপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে- এমনটা ভেবে কর্মসূচি না নেওয়া হলে কর্মীদের আত্মবিশ্বাসের জায়গা দূর্বল হয়ে যাবে।
রীতি অনুযায়ী নতুন কমিটির হওয়ার পর উপাচার্য সঙ্গে সাক্ষাৎ করেননি সংগঠনটির নেতাকর্মীরা । রমজানে হলের ক্যান্টিনগুলোতে খাবারের মূল্যবৃদ্ধি ও নিম্নমানের খাবার সরবরাহ ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দুটি পৃথক বিবৃতি ছাড়া আর দৃশ্যমান কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করেনি তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস রাইজিং বিডিকে বলেন, কমিটি ঘোষণার পর এই আড়াই মাসের মধ্যে প্রায় ২ মাসই ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। প্রথমে রমজান মাসের ছুটি এবং পরবর্তীতে হিটওয়েভের কারণে ক্যাম্পাসভিত্তিক সাংগঠনিক কার্যক্রম কিছুটা ধীরগতিতেই এগোচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে রেখেছে। ফলে অপরাপর ছাত্র সংগঠন কেবল নয়, সাধারণ শিক্ষার্থীরাও ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে প্রচণ্ড অস্বস্তিতে ভুগছে। তারপরও আমরা ক্যাম্পাসে আমাদের অনানুষ্ঠানিক পদচারণা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, নতুন কমিটি গঠনের পর থেকেই উপাচার্যসহ প্রশাসনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রায় সব শিক্ষকের সঙ্গেই আমরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের ব্যাপারে না এগোলেও খুব শীঘ্রই সে পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। যদিও সাক্ষাতের জন্য উপাচার্যের অফিসে যাওয়ার পথেই বিগত কমিটির সময়ে আমরা ন্যাক্কারজনকভাবে ছাত্রলীগের নৃশংস হামলার শিকার হয়েছিলাম। যার কোনো বিচার পরবর্তীতে হয়নি। আমরা আশা করছি, নতুন উপাচার্য ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সহিংসতার ব্যাপারটি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন।
/হারুন/মেহেদী/
আরো পড়ুন