ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

শরীরে পেসমেকার বসানোর পর বাড়ি ফিরলেন সব্যসাচী

বিনোদন ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ২৬ মার্চ ২০২৪   আপডেট: ১৭:৩৮, ২৬ মার্চ ২০২৪
শরীরে পেসমেকার বসানোর পর বাড়ি ফিরলেন সব্যসাচী

ভারতীয় বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর শরীরে পেসমেকার বসানো হয়েছে। গত ২০ মার্চ সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে বসানো হয় কৃত্রিম যন্ত্রটি। অবশেষে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন পর্দার ফেলুদা।

হাসপাতাল সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার (২২ মার্চ) বাড়ি ফিরেছেন সব্যসাচী। আগের চেয়ে এখন তিনি অনেকটাই ভালো আছেন।

এ প্রসঙ্গে সব্যসাচীর পুত্রবধূ ঋদ্ধিমা ঘোষ সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, ‘বাবা এখন খুব ভালো আছেন। চিকিৎসকরা আপাতত কয়েক দিনের জন্য বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।’

নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, গত ১৯ মার্চ রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করায় পরের দিন সকালে কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সব্যসাচীকে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রিয়ম মুখার্জির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন চলে। সব্যসাচীর হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় পেসমেকার বসানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপর ২০ মার্চ সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেসমেকার বসানো হয়।

কৃত্রিম পেসমেকার হলো ব্যাটারিচালিত পাতলা হাতঘড়ির মতো একটি জেনারেটর, যা বুকের ত্বকের নিচে ছোট্ট অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে স্থাপন করা হয়। এর বিশেষ ধরনের তার শিরার মধ্য দিয়ে হৃদ্‌যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকে। এই যন্ত্রে তৈরি বার্তা হৃৎপিণ্ডে পৌঁছে স্পন্দন স্বাভাবিক ও নিয়মিত রাখে।

১৯৫৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সব্যসাচী। ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। হংসরাজ কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে দিল্লিতে এএমআই পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ১৯৮৬ সালে মিঠু চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে গৌরব ও অর্জুন নামে দুই ছেলে রয়েছে।

১৯৯২ সালে অভিনয়ে নাম লেখান সব্যসাচী। ‘তেরো পার্বন’ টিভি সিরিয়ালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ‘রুদ্রসেনের ডায়েরি’ টিভি সিরিয়ালে প্রথম গোয়েন্দা চরিত্রে অভিনয় করেন। পরে বাঙালি গোয়েন্দা চরিত্রে তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে দর্শকদের।

সব্যসাচীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে: সত্যজিৎ রায়ের ‘ফেলুদা’, সন্দীপ রায়ের ‘বাক্স রহস্য’। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অন্তর্ধান’। এছাড়াও তার অভিনীত সিনেমা হলো: ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘তিনকাহন’, ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’, ‘ল্যাবরেটরি’, ‘গোরস্থানে সাবধান’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ প্রভৃতি। অভিনয় ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতি তার ভালোবাসা রয়েছে। তিনি একজন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়