কম্বোডিয়ায় আবারো বিমান হামলা থাইল্যান্ডের
থাইল্যান্ড আবারো কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার কম্বোডিয়া কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে যুদ্ধবিরতি ভেঙে দুই দেশের সীমান্তে তীব্র লড়াই শুরু হয়েছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলে তাদের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছে।
রবিবার এক সংঘর্ষে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর সর্বশেষ বৃহৎ পরিসরে এই লড়াই শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত লড়াইয়ে প্রায় দুই ডজন লোক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে এবং সীমান্তের উভয় পাশে লাখ লাখ লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, একটি থাই সামরিক যুদ্ধবিমান সীমান্ত এলাকায় তিনটি বোমা ফেলেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মালি সোচেতা থাইল্যান্ডকে ‘সব ধরণের ভারী অস্ত্র ব্যবহার এবং কম্বোডিয়ার ভূখণ্ড দখল করার জন্য বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন’ করে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।
এর আগে থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, বুধবার রাতে থাই অবস্থানগুলোতে কামান এবং মর্টার দিয়ে কম্বোডিয়া আক্রমণ শুরু করেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তারাও একই ধরণের ভারী অস্ত্র দিয়ে জবাব দিয়েছে। এর ফলে ‘শত্রু ট্রাক’ ধ্বংসসহ অন্যান্য ক্ষতি হয়েছে। অবশ্য বিমান বাহিনীর মুখপাত্র এয়ার মার্শাল জ্যাকক্রিট থাম্মাভিচাই বৃহস্পতিবার বিমান হামলা হয়েছে তা নিশ্চিত বা অস্বীকার করেননি।
তিনি একটি টেলিভিশন ভাষণে বলেছিলেন, “থাই বিমান বাহিনী তাদের বিমান অভিযান অব্যাহত রাখবে যতক্ষণ না বিরোধী পক্ষ থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং থাই জনগণের নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ সমস্ত প্রচেষ্টা বন্ধ না করে।”
ঢাকা/শাহেদ