পুলিশ-সাংবাদিক পরিচয়ে ছিনতাই করতেন তারা
জুয়েলারি কারখানার কর্মকর্তার কাছ থেকে চার লাখ টাকার স্বর্ণ, মোবাইল, নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনায় পাঁচ ছিনতাইকারীকে রোববার দারুস সালাম থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। এরা নিজেদের পুলিশ, সাংবাদিক পরিচয় দিতেন।
সোমবার (২৩ মার্চ) পাঁচজনকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) ফজলুল হক। রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা এমনটাই উল্লেখ করেছেন।
ঢাকা মেট্টেপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম শুনানি শেষে আসামিদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আসামিরা হলেন-পার্বতীপুরের উত্তর ধোপাকল বালাপাড়া গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে রাসেল মাহমুদ সরকার, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের হরিরামপুর গ্রামের রনজু সরকারের ছেলে মিজানুর রহমান, ফরিদপুরের নগরকান্দার সুতারকান্দা গ্রামের মৃত আতর আলীর ছেলে দবির মিয়া, লালমনিরহাট সদরের ফুলগাছ এলাকার খোদা বক্স সরকারের ছেলে হাসানুল বান্না ও টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বয়রাপাড়া গ্রামের আরমান আলীর ছেলে ইসরাফিল।
গ্রেপ্তারের সময় একটি মোটরসাইকেল, ৬ হাজার টাকা ও ৭টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আসামিদের মধ্যে হাসানুল বান্নার পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালত তা নাকচ করেন। অপর আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলো না।
এদিকে, রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, আসামিরা সংঘবদ্ধ পুলিশ পরিচয়ে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। গ্রেপ্তারকৃত হানানুল বান্না নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিতেন। অপর চারজন নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিতেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দবির মিয়া পুলিশ বাহিনীর শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় চাকরিচ্যুত।
উল্লেখ্য, গত ১৪ মার্চ বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে থেকে মধ্যবাড্ডার লুৎফুন টাওয়ার শপিং কমপ্লেক্সের রুমপ জুয়েলার্সের কর্মকর্তা ভবতোষ চক্রবর্তী ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ ঘটনায় ১৮ মার্চ বাড্ডা থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তিনি।
মামুন/সাইফ
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন