ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

থানা হেফাজতে আফসারের মৃত্যু: বিচারিক তদন্ত চেয়ে রিট

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১২ জুলাই ২০২০   আপডেট: ১০:৩৯, ২৫ আগস্ট ২০২০
থানা হেফাজতে আফসারের মৃত্যু: বিচারিক তদন্ত চেয়ে রিট

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে আফসার আলীর (৩৫) মৃত্যুর  ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ে করা হয়েছে। রিটে আফসার আলীর মৃত্যর ঘটনায় সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রোববার (১২ জুলাই) মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইয়াদিয়া জামান ও অ্যাডভোকেট শাহীনুজ্জামান শাহীন এ রিট দাখিল করেন।

বিচারপতি জে বি এম হাসানের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে চলতি সপ্তাহে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে।
স্বরাষ্ট্রসচিব,পুলিশ মহাপরিদর্শক, চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় পুলিশ হেফাজতে আফসার আলীর মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন রিট আবেদনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় রিমান্ডে আসামির মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারাই ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। থানা হেফাজতে পৌর এলাকার টিকরামপুর মধ্যপাড়ার মহসীন আলীর ছেলে আফসার আলীর মৃত্যুর পর ওসির দাবি, এটা স্বাভাবিক মৃত্যু। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেছেন, বাথরুমে ঢুকে তিনি গলায় তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ডাক্তার বলেছেন, হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পর বুকের ব্যথায় মারা গেছেন আফসার।

নিহত ব্যক্তির স্ত্রী বলেছেন, আফসারকে খুন করা হয়েছে। তবে রাতে হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যার কোনো চিহ্ন মরদেহের গলায় দেখা যায়নি। যার ভিডিও ফুটেজ যুগান্তরের হাতে রয়েছে। আফসারের মৃত্যু নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তারা ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দেওয়ায় এ নিয়ে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়েছে। ৫ জুলাই (রোববার) সদর উপজেলার সুন্দরপুর বাগডাঙ্গা শুকনাপাড়া এলাকা থেকে ১ কেজি ১৯৫ গ্রাম হেরোইনসহ আফসার আলীকে আটক করে র‌্যাব। সদর থানায় মামলার পর ৬ জুলাই (সোমবার) ১ দিনের রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। ওই দিন রাত ১২টার দিকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়। রাত ১টায় রাজারামপুরে আফসার আলীর ভাড়া বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় শোকের মাতম। নিহত ব্যক্তির ২ শিশু তিশা-দিশার কান্নায় বাতাস যেন ভারি হয়ে উঠছিল।

কাঁদতে কাঁদতে আফসারের স্ত্রী জুলেখা বেগম অভিযোগ করেন, অভাব-অনটনের সুযোগে সোর্স ওয়াসিম আর মোহন তার স্বামীকে কৌশলে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে। পরে সে র‌্যাবের হাতে ধরা পড়ে। ৬ জুলাই থানায় দেখা করতে গেলে সন্তানদের সামনেই হাতকড়া পরা অবস্থায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা তাকে মারধর করছিল। তিনি দাবি করে বলেন, পুলিশই আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈদুল ইসলাম জানান, আফসার আলী কর্মঠ আর নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। রিকশা-ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাতেন। 

 

মেহেদী/ এসএম

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়