জেকেজি’র সাবরিনার দুর্নীতি অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ
জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীর দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সেলিনা আখতার মনিকে অভিযোগটি অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
দুদক পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বিষয়টি রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সাবরিনার বিরুদ্ধে করোনার ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। যার অনুসন্ধানে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হলো।
গত ১৩ জুলাই দুদকের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
দুদক জানায়, স্বামী আরিফ চৌধুরীর সহায়তায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া মেডিক্যাল রিপোর্ট প্রস্তুত ও সরবরাহ করে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার (ডা. সাবরিনা চৌধুরী) বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করা হবে।
এর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন উৎস থেকে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ সংগ্রহ করে দুদক।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ডা. সাবরিনা চৌধুরী পেশায় একজন হৃদরোগ সার্জন। তার স্বামী আরিফ চৌধুরী। যার চতুর্থ স্ত্রী সাবরিনা। আরিফের মালিকানাধীন জেকেজি হেলথ কেয়ার নামের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তারা ২৭ হাজার করোনা রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে। এরপর কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজার ৪৬০টি ভুয়া রিপোর্ট দেন। বাকি ১১ হাজার ৫৪০টি রিপোর্ট দিয়েছে আইইডিসিআরের মাধ্যমে।
করোনার রিপোর্ট জালিয়াতির কারণে সাবরিনা চৌধুরীর স্বামী আরিফ চৌধুরীসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি। তারা এখন কারাগারে।
ঢাকা/এম এ রহমান/জেডআর
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন