ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

‘অপকর্ম আড়াল করতে অবৈধ অর্থ নিজের কাছে রাখেন মনির’

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:০৭, ২২ নভেম্বর ২০২০  
‘অপকর্ম আড়াল করতে অবৈধ অর্থ নিজের কাছে রাখেন মনির’

ভূমি জালিয়াতি ও চোরাচালানের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেছেন মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির। অবৈধ অর্থের একাংশ দিয়ে তিনি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার দেশ-বিদেশ থেকে কিনে নিজ বাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের লকারে জমিয়ে রাখেন। দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের ভয়ে অপকর্ম আড়াল করতে অবৈধ অর্থ ব্যাংকে না রেখে নিজের কাছে লুকিয়ে রাখেন তিনি।

রোববার (২২ নভেম্বর) গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে করা অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় রিমান্ড আবেদনে এসব তথ‌্য উল্লেখ করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা বাড্ডা থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোহাম্মদ ইয়াসীন গাজী।

এ দুই মামলায় মনিরের সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এদিন একই থানার এসআই জানে আলম দুলাল মাদক মামলায় মনিরের আরও সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলার রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মনির নব্বইয়ের দশকে ঢাকার গাউছিয়া মার্কেটে কাপড়ের দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। এ সময় তার সঙ্গে চোরাকারবারীদের যোগাযোগ হয়। মনির শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিদেশ থেকে লাগেজে করে বিদেশি কাপড়, কসমেটিকস, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, ঘড়ি, মোবাইল ফোন ইত্যাদি চোরাচালানের কারবার শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি সোনা চোরাচালানের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন এবং বায়তুল মোকাররম মার্কেটে উমা জুয়েলার্স নামের একটি জুয়েলারির দোকান দেন। সোনা ব্যবসায়ীদের কাছে তিনি গোল্ডেন মনির হিসেবে পরিচিত। চোরাচালানের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ-সম্পদের মালিক হন মনির। ওই টাকা দিয়ে তিনি জমির ব্যবসা শুরু করেন। মনির প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় রাজউক পুনর্বাসন ডিআইটি প্রজেক্টে তার বর্তমান আবাসস্থলসহ নামে-বেনামে ৩৯টি প্লট হাতিয়ে নেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি এবং রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল ও দাপ্তরিক সিল ব্যবহার করে পূর্বাচল, বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে নামে-বেনামে প্রায় দুই শতাধিক প্লট দখলের অভিযোগ আছে।

আবেদনে আরও বলা হয়, ভূমি জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকায় রাজউক মনিরের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করে। দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে তার বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় মামলা করে দুদক।

আদালত অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিন এবং মাদক মামলায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়