ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পায়রা তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১৫৪ কোটি ৭০ ডলার দিচ্ছে চীন

কেএমএ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৭ আগস্ট ২০২০   আপডেট: ১১:২১, ২৮ আগস্ট ২০২০
পায়রা তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য ১৫৪ কোটি ৭০ ডলার দিচ্ছে চীন

পায়রা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র (২য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে ১৫৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার দিচ্ছে ‘দ্য এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়না’ (সিইএক্সআইবি)।  ঋণের এই টাকা গ্রেস পিরিয়ড ৪ বছরসহ ১৫ বছরে পরিশোধ করতে হবে।   

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এই সংক্রান্ত প্রস্তাব স্ট্যান্ডিং কমিটি অন নন-কনসেশনাল  লোন (এসসিএনসিএল) কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হয়েছে। 

সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব, অর্থ বিভাগের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এই প্রসঙ্গে বিদ‌্যুৎ বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্র্রা.) লিমিটেড (বিসিপিসিএল)-এর অধীনে ‘পটুয়াখালী জেলায় পায়রা তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র (২য় পর্যায়) প্রকল্প’ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের ২০ মার্চ  অনুমোদন দেন।’  তিনি বলেন, ‘পরবর্তী সময়ে দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে নির্বাচিত ঠিকাদারের সঙ্গে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।’

এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক ২০৬ কোটি ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার।  প্রকল্প ব্যয়ের ৭৫ শতাংশ  ১৫৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার  চায়না এক্সিম ব্যাংক  ঋণ হিসেবে দেবে। ’ 

বিদ‌্যুৎ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের বিদ্যুৎ উৎপাদন পরিকল্পনার আলোকে বাংলাদেশ কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র তৈরির জন্য ‘নর্থ-পয়েন্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড’ (নওপাজেকো) এবং ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন’ (সিএমসি)-এর ৫০:৫০ শতাংশ অংশীদারিত্বে  ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড’ (বিসিপিসিএল) নামে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি গঠন করা হয়।  পায়রা ১২০ মেগাওয়াট তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র (১ম পর্যায়) প্রকল্পের প্রথম ইউনিট ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। 
গত ১৫ মে থেকে এনএলডিসির চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে বিদ্যুৎ সরবরাহও করা হচ্ছে। এই প্রকল্পের ২য় ইউনিটের কাজ প্রায় শেষের দিকে।  ২য় ইউনিট থেকে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব বলেও সূত্রটি জানায়।

উল্লেখ‌্য, পায়রা ১২০ মেগাওয়াট তাপ-বিদ্যুৎকেন্দ্র (১ম পর্যায়) প্রকল্প এক্সপোর্ট ক্রেডিট অ্যাজেন্সি (ইসিএ)-এর আওতায় ‘দ‌্য এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক অব চায়না’র দেওয়া ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

হাসনাত/এনই  

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়