আবহাওয়ার পূর্বাভাসের সক্ষমতা আরও বাড়বে: প্রধানমন্ত্রী

আবহাওয়া অধিদপ্তরের প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পূর্বাভাস ও আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সক্ষমতা বহুলাংশে বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ফলে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ এবং তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।

২৩ মার্চ বিশ্ব আবহাওয়া দিবস উপলক্ষে সোমবার (২২ মার্চ) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত সমুদ্র পর্যবেক্ষণ ও বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও দক্ষতার সঙ্গে জলবায়ু ও আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছে, যা দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নকে বেগবান করছে।’

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিঘাত মোকাবিলা করে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্য ‘বাংলাদেশ বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ নামে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হসিনা বলেন, ‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব আবহাওয়া দিবস-২০২১ উদযাপিত হবে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য—সমুদ্র, আমাদের জলবায়ু ও আবহাওয়া—বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রাসঙ্গিক ও অর্থবহ বলে আমি মনে করি।’

সরকার জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছে, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে জলবায়ু ও এর প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সঠিক ও সময়োপযোগী আবহাওয়া ও জলবায়ু পূর্বাভাস দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সরকারের সময়েই বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সক্ষমতা বৃদ্ধির কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা আবহাওয়া আইন-২০১৮ প্রণয়ন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকারের ১২ বছরে ১০টি উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫টি আবহাওয়া রাডার স্টেশন, গাণিতিক আবহাওয়া পূর্বাভাস পদ্ধতি প্রচলন, ১২টি নতুন আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার, ১৪টি নদীবন্দরে প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শক্তিশালীকরণ এবং আবাসিক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।’
‘আবহাওয়া পূর্বাভাস জনগণের কাছে সহজলভ্য করার জন্য বিএমডি ওয়েদার অ্যাপ এবং বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সমুদ্রের আবহাওয়া মনিটরিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। কৃষকদের প্রয়োজনে ১০ দিনের আগাম আবহাওয়া পূর্বাভাস দেওয়ার জন্য শক্তিশালী কম্পিউটার স্থাপন, স্বয়ংক্রিয় মাটির আর্দ্রতা পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক, স্বয়ংক্রিয় বৃষ্টিমাপক অপটিক্যাল নেটওয়ার্ক, কার্বন পর্যবেক্ষণ নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে’, বলেন শেখ হাসিনা।