ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

করোনা মোকাবিলায় সব দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

কূটনৈতিক প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ৭ এপ্রিল ২০২১  
করোনা মোকাবিলায় সব দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মহামারি করোনা মোকাবিলায় বিশ্বের সব দেশকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।

বুধবার (৭ এপ্রিল) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু লেকচার সিরিজের পঞ্চম লেকচারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বের সব দেশের অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা অপরিহার্য। বিশ্ব থেকে করোনা দূর করতে হলে বিশ্বের ধনী-দরিদ্র সব ব্যক্তির টিকা নেওয়া আবশ্যক। এক্ষেত্রে  সব দেশকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বিশ্ব কূটনীতিতে উৎসাহব্যঞ্জক উত্তরাধিকার (The Birth of Bangladesh and Its Inspirational Legacy in Global Diplomacy) শীর্ষক এ লেকচারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের সাবেক আণ্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল, রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করিম চৌধুরী।

এ সময় ড. মোমেন বলেন, আমরা বিশ্বে টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই।  বঙ্গবন্ধু দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন শান্তি উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। বঙ্গবন্ধু সারাজীবন শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে গুরুত্ব দিয়েছেন। বাংলাদেশকে শান্তির জনপদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ অবিচ্ছেদ্য।  একটি থেকে অন্যটিকে আলাদা করা যাবে না।  বঙ্গবন্ধু বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের সমস্যা তুলে ধরে বিশ্ব নেতায় পরিণত হন। বঙ্গবন্ধু ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিষ্ঠা করেন, যা ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য অপরিহার্য।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তৃতাসমূহ বাংলাদেশের নবীন কূটনীতিকসহ সবার পড়া উচিত।  পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে প্রথম বাংলায় বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু মানবজাতির আকাঙ্খা, বৈশ্বিক বৈষম্য, প্রযুক্তি হস্তান্তর ও মালিকানা, অর্থনৈতিক কাঠামোসহ ২৭টি বিষয় উত্থাপন করেন, যা এখনও খুবই প্রাসঙ্গিক।

ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, মানুষের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে মানুষকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। তিনি জাতিসংঘে জনগণের ক্ষমতায়নের শান্তি কেন্দ্রিক মডেল (Peace Centric Mode)  পেশ করেন। 

তিনি মনে করেন, উন্নয়ন হলো মানবাধিকার।  দারিদ্র্য দূরীকরণ, যথাযথ কর্মসংস্থাপনের ব্যবস্থা ইত্যাদি বিষয়ে ২০১২ সালে দৃষ্টান্তমূলক একটি রেজুলেশন জাতিসংঘে উপস্থাপন করা হয় এবং তা গৃহীত  হয়।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।  বিভিন্ন বিদেশি মিশনের আবাসিক ও অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত/ হাইকমিশনার ও মিশন প্রধান, সাবেক কূটনীতিক, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী অংশ নেন। 

হাসান/সাইফ

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়