ঢাকা     শুক্রবার   ০৩ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২০ ১৪৩১

রপ্তানি নীতির খসড়া অনুমোদন

সচিবালয় প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২  
রপ্তানি নীতির খসড়া অনুমোদন

মন্ত্রিসভার বৈঠক (ফাইল ফটো)

‘রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪’ এর খসড়ার অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। চাহিদা ও বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তিন বছর পর পর রপ্তানি নীতি পরিবর্তন করা হয়।

সোমবার (২৮ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে রপ্তানি নীতি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বৈঠকে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর উদ্যোক্তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ডব্লিউটিওর বিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণে অগ্রধিকারমূলক পণ্য ও সেবা খাত চিহ্নিতকরণ, রপ্তানি শিল্পের পশ্চাৎ ও অগ্র সংযোজন শিল্প স্থাপনে সহায়তা করা, শ্রমনির্ভর রপ্তানি খাতে গুরুত্ব দেওয়া, দক্ষতা উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিবেশ সহজিকরণে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণের প্রতি এ নীতিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পার্টিকুলারলি মধ্যম আয়ের দেশে গ্র্যাজুয়েশনের বিষয়ে এখানে বিশেষভাবে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশনের বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়া হয়েছে। তারপর ২০২৬ এবং আরও তিন বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ইইউতে আমরা যে গ্রেস পাবো, তা বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ইকোনোমিক ডিপ্লোম্যাসিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের অ্যাম্বাসেডররা ডিপ্লোম্যাটিক কাজের পাশাপাশি ইকোনোমিক প্রমোশন, ক্যাম্পেইন, এক্সপোর্ট-ইমপোর্টে বিশেষ দৃষ্টি দেবেন।’

এ নীতিতে প্রত্যেকটি টপিক আলাদা আলাদাভাবে আলোচনা করা হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘কিভাবে আরও বেশি বিদেশি ফান্ড আনা যায়, কিভাবে এক্সপোর্ট বৃদ্ধি করা যায়, রপ্তানি নীতিতে তা রাখা হয়েছে। অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাতে কিছু সম্ভাবনাময় নতুন খাত যেমন: কৃত্রিম ফাইবার, হালাল পণ্য ও ফ্যাশন, মেডিক্যাল ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী এবং ফ্রিল্যন্সিং খাত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

সমস্ত খাত যেন সুবিধা পায়, সে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের রপ্তানিতে সম্পৃক্ত করতে সুনির্দিষ্ট নীতি বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ব্যবসা ও বিনিয়োগ সহজিকরণে বিশেষ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আমরা যেন সব প্রাইমারি গুডস দেশের বাইরে পাঠিয়ে না দেই। যেমন: তুরস্ক আমাদের কাছ থেকে র জুট নিয়ে যায়, তারা আবার ফাইনাল প্রোডাক্ট বানিয়ে ইউরোপের বাজারে দেয়। আমরা অবশ্যই র জুট এক্সপোর্ট করব। কিন্তু পাশাপাশি ফাইনাল প্রডাক্ট যদি করতে পারি, তাহলে ভ্যালু অ্যাড কিন্তু বেশি হবে। এগুলোকে প্রটেকশন দেওয়ার জন্য কিছু বিধি-বিধান রপ্তানি নীতিতে রাখা হয়েছে। রপ্তানিনিষিদ্ধ পণ্যের তালিকাও হালনাগাদ করা হয়েছে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, তিন থেকে চার মাস পর কমার্স সেক্রেটারির তত্ত্বাবধানে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ের অবজারভেশন নিয়ে রপ্তানী নীতি মনিটর করা হবে এবং প্রয়োজন হলে মডিফাই করা হবে।

আসাদ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়