দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বেড়েছে বরাদ্দ
বিগত দুই বছর করোনার প্রাদুর্ভাবে গতি কমেছে বিশ্ব অর্থনীতির। অর্থনীতির সেই গতি ফেরাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশও নিয়েছে বিভিন্ন উদ্যোগ। দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে আজ বৃহস্পতিবার ৯ জুন দুপুরো ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী।
দরিদ্র মানুষকে সহায়তার জন্য বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।
অর্থ বিভাগ জানায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিলো ৯ হাজার ৯৫১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে তা বাড়িয়ে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ পাবে এ মন্ত্রণালয়। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে এ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ ছিল ৯ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা, সংশোধিত বাজেটে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৯ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ১০ হাজার ৮৬৫ কোটি টাকার প্রস্তাব পাঠায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
অর্থ বিভাগের কমকর্তারা জানান, দরিদ্র মানুষের জন্য যেভাব। মানবিক সহায়তা প্রতি বছর যেভাবে থাকে সেভাবেই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগে বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, গৃহ মঞ্জুরিসহ অত্যাবশ্যকীয় খাতগুলোতে এমনিতেই প্রতি বছর অর্থ বরাদ্দ থাকে। এ বছর ইজিপিপি প্লাস নামের নতুন একটি কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সেটি বিশ্বব্যাংকের অনুদানে শুধুমাত্র কক্সবাজার জেলায় বাস্তবায়ন চলবে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই কর্মসূচির জন্য ২৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, টিআর-কাবিখার মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ বিভিন্ন মহায়তা পাচ্ছে। দুর্যোগকালে তারা উপকৃত হচ্ছেন আর্থিকভাবেও। ঝড়-বন্যার মতো সমস্যা সমাধানে যে বাড়তি উদ্যোগ আছে, সেসব কার্যক্রমও আগের মতোই চলবে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দের বিষয়ে জানতে চাইলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, বাজেটে দেশের ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ৩২৩টি উপজেলায় দারিদ্রের হার ২০ শতাংশের বেশি সেখানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশের কম সেসব উপজেলায় সেখানে কর্মসংস্থানমূলক প্রকল্প নেওয়া হবে। এছাড়া কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের জন্য বাড়তি ইজিপিপি প্লাস শীর্ষক কর্মসূচি রয়েছে। সেটির জন্য আলাদা বরাদ্দ রয়েছে।
/আসাদ/সাইফ/
আরো পড়ুন