ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

‘ভবিষ্যৎ অস্তিত্বের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা জরুরি’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৩, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩  
‘ভবিষ্যৎ অস্তিত্বের জন্য পানি ব্যবস্থাপনা জরুরি’

আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পথে রয়েছি এবং দেশের আরও  উন্নয়ন ঘটছে, তাই পানি শাসন একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হয়ে উঠবে। এছাড়া ভবিষ্যৎ অস্তিত্বের জন্য পানি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে। এজন্য তরুণদের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।

সিলেটে বুধবার ‘জীবন-জীবিকার জন্য পানি এবং নদী : যুবদের ভূমিকা’ শীর্ষক অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অষ্টম আন্তর্জাতিক পানি সম্মেলনের শেষ দিনে এ কথা বলেন বক্তারা।

তৃতীয় দিনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, ‘নদীকে জীবন্ত সত্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। নীতি ও কর্মের রূপান্তর করার জন্য আমাদের এখন শনাক্ত করতে হবে, কিভাবে নদী ও প্রাকৃতিক সম্পদের মূল্যায়ন করা যায়।’

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বাংলাদেশের একই নামের নদীগুলোকে চিহ্নিত করার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে, যাতে নদীর সঠিক গণনা করা যায় এবং সুরক্ষিত রাখা যায়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘আমরা নদীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য তরুণদের সম্পৃক্ত করার গুরুত্বের ওপর জোর দিচ্ছি। নীতিনির্ধারকদেরও ভাবতে হবে কিভাবে দেশের ছাত্রসংগঠনগুলোকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি নদী ও পরিবেশের সমস্যাগুলোর পক্ষে সমর্থন করার জন্য সংগঠিত করা যায়।’

ভারতের জলবায়ুবিষয়ক সাংবাদিক এবং এনভায়রনমেন্ট গভার্নড ইন্টিগ্রেটেড অর্গানাইজেশনের (এনজিআইও) পরিচালক জয়ন্ত বসু বলেন, ‘আমাদের একটি উপায় চিহ্নিত করতে হবে যাতে আন্তঃসীমান্ত নদীগুলো ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই উপকার করে। এসব নদীর পানির ওপর উভয় দেশের জনগণের সমান অধিকার রয়েছে। কারণ এগুলোর সঙ্গে মানুষের জীবন-জীবিকাও জড়িত।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘কুশিয়ারা নদীর পানি বরাদ্দ চুক্তি অন্যান্য আন্তঃসীমান্ত নদীর জন্য আলোচনার একটি প্রেক্ষাপট শুরু করেছে এবং আমাদের এই গতি ধরে রাখতে হবে।’

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় কুশিয়ারা নদী ও এর পাশের এলাকা পরিদর্শনের মাধ্যমে সম্মেলনের সূচনা হয়। সম্মেলনের প্রথম দিনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কঠোর বাস্তবতার মুখোমুখি হয়েছি। এতে নদীভাঙন, লবণাক্ততার অনুপ্রবেশ এবং অন্যান্য সম্পর্কিত ঘটনা বেড়েছে। পানির বাস্তুতন্ত্র সম্পর্কিত সমস্যা মোকাবেলায় প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান খুঁজতে হবে।

সম্মেলনটি পাঁচটি বিষয়ভিত্তিক ক্ষেত্র জলাশয় ইতিহাস, রূপবিদ্যা ও পরিবর্তন; নদী একটি জীবন্ত সত্তা এবং নদীর ওপর নৃতাত্ত্বিক হস্তক্ষেপের প্রভাব; পানি ও নদী অধিকারে যুব সম্পৃক্ততা; আন্তর্দেশীয় নদী ও পানি রাজনীতি; উদ্ভাবন, পানি, বাস্তুতন্ত্র ও টেকসই জীবিকাকে আবর্ত করে অনুষ্ঠিত হয়।

তিন দিনব্যাপী সম্মেলনে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক আইনুন নিশাত, অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ্ কবির, নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের এস এম মনজুরুল হান্নান খান, অ্যাকশনএইড ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ সোসাইটির ইব্রাহিম খলিল আল জায়াদ প্রমুখ।

/হাসান/সাইফ/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়