রাজধানীতে বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়, বিপাকে যাত্রীরা
ছবি: রাইজিংবিডি
বাংলাদেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল শনিবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। ঈদকে সামনে রেখে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছেন অসংখ্য মানুষ। এ অবস্থায় ঢাকার অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাসে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, ৩০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ১০০ টাকা। গেট বন্ধ করে ওঠানো হচ্ছে বাড়তি ভাড়া দিতে রাজি হওয়া যাত্রীদের। অন্যথায় নিচ্ছে না কাউকেই।
মিরপুর, গাবতলী যেখান থেকেই যাত্রীরা ওঠেন না কেন, গুলিস্তান যেতে হলে দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা। সাধারণ দিনে এই পথের ভাড়া ৩০ টাকা। এছাড়া গুলিস্তান পার হলে স্টেশনপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকাও বেশি দাবি করছেন। উত্তরা থেকে সায়েদাবাদ যেতেও যাত্রীদের দিতে হচ্ছে ১১০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া। সাধারণ দিনে এই রুটে স্থানভেদে ভাড়া ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
যাত্রীদের অভিযোগ, বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে কন্ডাকটরদের জিজ্ঞাসা করলে যাত্রীদের সঙ্গে করা হচ্ছে দুর্ব্যবহার। অন্যদিকে, বাসচালক ও সহকারীদের দাবি, ঈদ উপলক্ষে এই ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এটাকে ঈদ বোনাস মনে করছেন তারা। তবে বাস শ্রমিকদের এমন আচরণে নিজেদের অসহায় মনে করছেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে বিহঙ্গ নামের একটি বাসের হেলপার কালাম হোসেন বলেন, যাত্রীরা ঈদে বাড়ি যাচ্ছেন। এই আনন্দে কিছু টাকা নিতেই পারি। আমাদের তো বাসমালিক বোনাস দেয় না। কি আর করবো যাত্রীদের কাছ থেকে ইদ বোনাস নিচ্ছি।
ঈদ উপলক্ষে ফরিদপুরে বাড়ি যাওয়ার জন্য মিরপুর-১০ থেকে ফুলবাড়িয়া বাস টার্মিনালে আসেন পোশাক শ্রমিক দীন ইসলাম। তিনি বলেন, ১০ টাকা বেশি নিতে পারে। এজন্য ৩০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা। আমরা অল্প আয়ের মানুষ। যা বোনাস পেয়েছি তা বিভিন্ন জায়গায় দিতে দিতেই শেষ। আরিফুল নামে আরেক যাত্রী বলেন, ৪০ টাকার ভাড়া ১২০ টাকা কেমনে চায় এরা।
মুনসুর নামে আরেক যাত্রী বলেন,ওরা সবাই একজোট। এই ভাড়া না দিলে তো কেউ যেতে পারবে না। কী আর করার, ঈদে তো বাড়ি যেতে হবে। উত্তরা, এয়ারপোর্ট ও খিলক্ষেত থেকে গুলিস্তানের ভাড়া নেওয়া হয়েছে ১০০ টাকা।
/এসবি/
আরো পড়ুন