‘বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান’

বাংলাদেশ-রাশিয়ার মধ্যে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সুসম্পর্ক বিদ্যমান। আগামীতেও এই সুন্দর সম্পর্ক থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেডারেল এজেন্সির ডেপুটি ডিরেক্টর শেভতসভ পাভেল।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্মরণে ‘রাশিয়ান ভাষা নিজের ভাষা’ শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ঢাকার রাশিয়ান হাউজ। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডি ক্লাবে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে শেভতসভ পাভেল এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি, পারমাণবিক দক্ষতা এবং আধুনিক আবিষ্কারে রাশিয়া বিশ্বে অনন্য অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। বন্ধু রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশও এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা পাবে। বড় শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া সহায়তা করেছে। বিশেষ করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়া বাংলাদেশকে সাহায্য করছে। এরই মধ্যে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করা হয়েছে।

শেভতসভ পাভেল আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষা গ্রহণে যায়। আগামী দিনে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য এই সুযোগ এবং বৃত্তির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। আমরা আশা করি, রাশিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে চলমান যৌথ শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম আরও গতিশীল হবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকাস্থ রাশিয়া দূতাবাসের কাউন্সেলর এবং রাশিয়া হাউসের পরিচালক পাভেল এ ডভয়চেনকভ, রাশিয়ান সাহিত্যের শিক্ষক, অনুবাদ ও লেখক জাহিদ রেজা নূর, রাশিয়ান ভাষা প্রশিক্ষক ইয়াসমিন সুলতানাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা।

সেমিনারে বক্তারা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বাংলা ভাষার গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি রাশিয়ার সাথে এদেশের সুনিবিড় সম্পর্কের কথাও তুলে ধরেন।