ঢাকা     শুক্রবার   ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  অগ্রহায়ণ ২০ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

হজের অব্যয়িত প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ফেরত পেল ৯৯০ এজেন্সি: ধর্ম উপ‌দেষ্টা

বিশেষ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫   আপডেট: ২২:০৮, ১৩ অক্টোবর ২০২৫
হজের অব্যয়িত প্রায় ৩৮ কোটি টাকা ফেরত পেল ৯৯০ এজেন্সি: ধর্ম উপ‌দেষ্টা

হ‌জের নিবন্ধ‌নের সময় বাড়া‌তে সৌ‌দি সরকা‌রকে অনু‌রোধ জানা‌নোর কথা জা‌নি‌য়ে ধর্ম উপ‌দেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন ব‌লে‌ছেন, “হজের অব্যয়িত ৩৭ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা ফেরত পেল ৯৯০টি হজ এজেন্সি। ২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৮ বছরে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ‘মাসার নুসুক’ প্লাটফর্মের আইবিএএন হিসাবে অব্যয়িত পড়ে থাকা এই টাকা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রচেষ্টায় ফেরত পাচ্ছে তারা।”

সোমবার (১৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনু‌ষ্ঠিত সংবাদ স‌ম্মেল‌নে তি‌নি এসব কথা জানান।

আরো পড়ুন:

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, “সরকারি-বেসরকারি উভয় মাধ্যমে হজযাত্রীদের হজ পালনের নিমিত্ত সৌদি প্রান্তের খরচ নির্বাহের জন্য সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ‘মাসার নুসুক’ প্লাটফর্মের আইবিএএন হিসাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন সাপেক্ষে অর্থ প্রেরণ করা হয়ে থাকে। গত ৮ বছরে এ হিসাবে বাংলাদেশি হজ এজেন্সিসমূহ যে টাকা পাঠিয়েছিল, তার কিছু টাকা অব্যয়িত ছিল।”

তিনি বলেন, “এই অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য হজ এজেন্সির দিক থেকে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। এ টাকা ফেরত আনার জন্য সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার পত্র প্রেরণ করে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে তাদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও এ বিষয়ে আলোচনা করে এ মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ হজ অফিসের মাসার নুসুক  প্লাটফর্মের আইবিএএনে অব্যয়িত টাকা ফেরত দিয়েছে।”

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অব্যাহত ও বহুমাত্রিক যোগাযোগের কারণেই এই অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে উল্লেখ করে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, “সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের আইবিএএন হিসাবে মোট ৯৯০টি বাংলাদেশি হজ এজেন্সির অব্যয়িত অর্থ জমা ছিল। সবকটি এজেন্সির টাকাই ফেরত পাওয়া গেছে। ইতোমধ্যে ফেরত দেয়া এই অর্থ বাংলাদেশ হজ অফিসের ‘মাসার নুসুক’ প্লাটফর্মের আইবিএএনে থেকে এ অফিসের হজ সংক্রান্ত সৌদি ফ্রান্সি ব্যাংকে পরিচালিত অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।”

ড. খালিদ বলেন, “হজ এজেন্সির অব্যয়িত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য আমাদের দাপ্তরিক সব প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এই অব্যয়িত অর্থ ফেরত আনা এবং তা সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সিসমূহকে ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় উদ্যোগ ও সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।”

হজের নিবন্ধনের সময় বাড়বে কি না- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, “হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ১২ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত ছিল। এ সময় পর্যন্ত ৫৯ হাজার ৮৫৯ জন নিবন্ধিত হয়েছেন। এরপর নিবন্ধন বন্ধ রয়েছে।”

তিনি বলেন, “মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সৌদি সরকারের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হবে। এই বৈঠকে হয়ত তারা আমাদের কাছে জানতে চাইবেন কতজন নিবন্ধিত হয়েছেন, কতজনের ভাউচার হয়েছে। সেই প্রেক্ষিতে আমরা আশাবাদী, সময় একটু বাড়তে পারে, যদি তারা অনুমোদন করে। আমরা তাদের সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করব।”

“সময় বাড়বে কি না সেটি সৌদি সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা বুঝতে পারবো। আমরা হজ এজেন্সিগুলোকে চিঠি দিয়ে জানতে চেয়েছি, আজ বিকেল ৫টার মধ্যে জানাতে হবে- অপেক্ষমাণ হজযাত্রী আর কতজন আছেন, যারা নিবন্ধনের জন্য সিস্টেমে ইনপুট দিতে পারেননি। এ তথ্য আমরা আজ বিকেলের মধ্যে পেলে আগামীকালের মিটিংয়ে বলবো যে এতজন হজযাত্রী নিবন্ধনের অপেক্ষায়,” যোগ ক‌রেন উপ‌দেষ্টা।

এবার হজে যেতে সরকারি ও বেসরকারি কোটা উন্মুক্ত রাখা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “যতজন হবে ততজনই সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন। এটা নিবন্ধনের ওপর নির্ভর করবে।”

সংবাদ বিবৃতিতে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মু. আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. আয়াতুল ইসলাম, প্রশাসন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ইমতিয়াজ হোসেন, যুগ্ম-সচিব (হজ) ড. মো. মঞ্জুরুল হক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়