ঢাকা     রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৭ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

ধানের ১১ বাংলাদেশি জাত ভারতে চাষ হচ্ছে

এএম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৯, ২৯ জুন ২০১৪   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ধানের ১১ বাংলাদেশি জাত ভারতে চাষ হচ্ছে

উচ্চ ফলনশীল ধানের ক্ষেত (ছবি : সংগৃহীত)

ডেস্ক রিপোর্ট : বাংলাদেশি ধানের ১১টি জাত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ব্যাপক হারে চাষ হচ্ছে। পাশাপাশি বাংলাদেশেও ভারতীয় ধানের বিভিন্ন জাত নানা নামে আবাদ হচ্ছে। ফলে দেশ দুটির মধ্যে ধানবীজের অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য বাড়লেও অশুল্ক বাধার কারণে গতি আসছে না আনুষ্ঠানিক বাণিজ্যে। তাই দেশ দুটির মধ্যে প্রযুক্তিগত ও অশুল্ক বাধা দূর করে বীজের সঠিক ব্যবহারের পরামর্শ দেন সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আনুষ্ঠানিক ধানবীজ বাণিজ্যে বাধাগুলো দূরীকরণ’ শীর্ষক মিডিয়া কর্মশালায় এ পরামর্শ দেন বক্তারা। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কাটস ইন্টারন্যাশনাল-ইন্ডিয়া ও বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। দেশ দুটির বীজ বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও বাধার ওপর আলোচনা করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী শাহীন উল আলম।

মূল প্রবন্ধে কাটস ইন্টারন্যাশনালের নীতি বিশ্লেষক সুরেশ প্রসাদ সিং বলেন, ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে বাংলাদেশি  ধান চাষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওডিশা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জেলায় জরিপ চালায়। তাতে দেখা যায়, এসব রাজ্যে বাংলাদেশি ১১-১২টি জাত চাষ হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য জাতগুলোর মধ্যে আছে বিআর-৮ (আশা), বিআর-৯ (বাংলা ধান), বিআর-১১ (বঙ্গবন্ধু), বিআর-১২ (ময়না), হীরা হাইব্রিড ও বিনা-৭। এছাড়া রয়েছে ব্রি ধান-২৬, ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি ধান-৩৪ ও ব্রি ধান-৫০। বাংলাদেশের বিআর-১১ জাতটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তাছাড়া বাংলাদেশেও ভারতের ধানবীজ আবাদ হচ্ছে। ফলে দুই দেশে এর একটি প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ প্রয়োজন। তাছাড়া এ ধরনের বাণিজ্যও স্বাভাবিক ঘটনা এবং দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক, বিশেষ করে জ্ঞানবিনিময় দুই দেশের স্বার্থেই দরকার।
বাংলাদেশ সিড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল আমিন বলেন, দেশে প্রত্যয়িত বীজের মাধ্যমে ভালো ফলন পাওয়া গেলেও এর অভাব রয়েছে। প্রায় সাড়ে তিন লাখ টন ধানবীজের চাহিদার বিপরীতে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে সরবরাহ হচ্ছে ৪০ শতাংশ।

বৈধ পথে রফতানির বিষয়ে তিনি বলেন, ভারতের তুলনায় বাংলাদেশে তুলনামূলক কম শর্তারোপের কারণে ভারতের বীজ বেশি অনুপ্রবেশ করছে।

ভারত সরকার বীজ আমদানিতে যে ধরনের নীতি ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি চালু রেখেছে, তাতে দেশের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড় কৃষক কারো পক্ষেই বৈধ উপায়ে এগুলো আমদানি করা সম্ভব নয়। দেশের ব্র্যান্ডেড কোম্পানিগুলোই ভারতে বীজ রফতানি করছে এবং তা বৈধ। অন্যদিকে দেশে ভারতের যেসব বীজ আসছে, তার অধিকাংশই অবৈধ পথে ও নন-ব্র্যান্ডেড।

প্রধান গবেষক ড. মাহফুজ কবীর বলেন, আউশ ও আমন জাতের ধানবীজ ভারত থেকে বাংলাদেশে আমদানি ও বোরো দেশটিতে রফতানির সুযোগ রয়েছে। এক্ষেত্রে ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বাধা দূর করতে হবে।

ভারতীয় স্বর্ণা, সম্পা, মিনিকেট ও পারিজা ধান সীমান্ত অঞ্চলে ব্যাপকভাবে আবাদ হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমন মৌসুমে ৪৮ হাজার হেক্টর জমির ৬৮ দশমিক ৭৫ শতাংশে ভারতীয় উফশী ও দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার ৬৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে ভারতীয় স্বর্ণা আবাদ হয়েছে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৯ জুন ২০১৪/এএম/এএ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়