ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল হোয়াটসঅ্যাপ

প্রকাশিত: ১৬:২৭, ২৬ মে ২০২১   আপডেট: ১৬:৩৭, ২৬ মে ২০২১
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করল হোয়াটসঅ্যাপ

ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণমূলক নতুন ইন্টারনেট আইনের কার্যকারিতা আটকাতে দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। নতুন আইনে প্রয়োজনে সরকারকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের বার্তায় নজরদারির সুযোগ করে দেওয়ার বিধান আছে। দিল্লি হাইকোর্টে মামলাটি করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

হোয়াটসঅ্যাপের দায়ের করা মামলায় বলা হয়েছে, নতুন আইন ভারতীয় সংবিধানে বর্ণিত গোপনীয়তার অধিকারের পরিপন্থী। এর ফলে ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের ৪০ কোটি ব্যবহারকারীর গোপনীয়তার লঙ্ঘন হবে। সে সঙ্গে তাদের নিরাপত্তাও বিঘ্ন হবে।

তিন মাস আগে জারি করা ওই নতুন আইনে বলা হয়, কোনো তথ্য প্রথম কার মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ালো, কর্তৃপক্ষ চাইলে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিকে তাকে চিহ্নিত করে দিতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ার লাগাম টানলে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি তারিখে নতুন আইন জারি করেন ভারতের আইন ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদ। আজ বুধবার (২৬ মে) থেকে আইনটি ভারতে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে মামলায় হোয়াটসঅ্যাপ বলছে আইনটি অসাংবিধানিক।

এ প্রসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের একজন মুখপাত্র বলেছেন, তাদের ব্যবহারকারীদের বার্তার গোপনীয়তা এনক্রিপশনের মাধ্যমে আদান-প্রদানকারীর মধ্যেই সুরক্ষিত থাকে। কোনো বার্তা প্রেরক ও প্রাপক ছাড়া আর কেউ দেখতে পায় না। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপও না। এখন ভারত সরকারের নতুন নিয়ম মানতে হলে হোয়াটসঅ্যাপকে তথ্য গ্রহিতা এবং তথ্য দাতা- দুই পক্ষের গোপনীয়তাই ভাঙতে হবে। ব্যক্তিগত বার্তা আর ‘ব্যক্তিগত’ রাখার সুবিধা থাকবে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ মামলার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরোধের মাত্রা আরও বাড়ল। এ সপ্তাহের শুরুতে টুইটার কার্যালয়ে পুলিশের অভিযানের পর থেকে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। 

সোশ্যাল মিডিয়া মাধ্যমের ‘অপপ্রয়োগ’ ঠেকাতে বেশ কিছু শর্ত পূরণের নির্দেশনা দিয়ে ২৫ মে পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলোকে সময় বেঁধে দিয়েছিল ভারত সরকার। কিন্তু ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামসহ অন্য কোম্পানিগুলো তা পূরণ করেনি। তবে মঙ্গলবার (২৫ মে) ফেসবুক জানিয়েছে, ভারত সরকারের নিয়ম অনুসরণ করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। কিন্তু ফেসবুকেরই মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ নতুন এ আইনের বিরোধিতা করে আইনি পথে হাঁটল। ডিজিটাল অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো হোয়াটসঅ্যাপের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়