যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এবার যেন শেষ তালিকা হয়
আবুল কাশেম চৌধুরী || রাইজিংবিডি.কম
প্রতীকী ছবি
আবুল কাশেম চৌধুরী : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ঘোষণা করেছেন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই করে পুর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করবেন মুক্তিযোদ্ধাদের। মাননীয় মন্ত্রীকে আন্তরিক ধন্যবাদ। কিন্তু কাজটি বড় চ্যালেঞ্জের। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সহজ নয়। নিজ দলের নেতা কর্মীরাই প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়াতে পারে মন্ত্রী মহোদয়ের। মন্ত্রীর ঘোষণার সঙ্গে একমত হয়ে আমাদের আর্জি মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে এবার যেন শেষ তালিকা হয় এবং তালিকা সম্পর্কিত সকল প্রকার ভোগান্তির অবসানই কাম্য মুক্তিযোদ্ধাদের।
‘২০১৪ সালের পর আর কোন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা থাকবে না’ মন্ত্রীর এ ঘোষণার সঙ্গে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সহমত পোষণ করে। মুক্তিযোদ্ধাদেরকে শেষ বারের মত আবেদন করতে বলা হয়েছে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে। এ পর্যন্ত গেজেট ও মুক্তিবার্তাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ২ লাখ ৯ হাজার ৮ জন। মুক্তিবার্তা লাল বই এর তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা হচ্ছে ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৬১।
অবশ্য, ইতিমধ্যে প্রকাশিত ৪টি তালিকার একটিতেও পুর্ণাঙ্গতা পাইনি। সকল তালিকায় দলীয় চাপ রয়েছে। যারা ক্ষমতাসীন থাকেন তারা নানা ভাবে প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছেন। এমপি, মন্ত্রী, দলীয় নেতারা প্রভাব বিস্তার করতে একটু দ্বিধাবোধ করেননি, হয়তবা এখনও করবেন না। যাচাই/বাছাই করতে হলে মন্ত্রণালয়কে সতর্ক ও দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। না হলে সফলতা আসবে না।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দের প্রতি সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের আস্থা নেই। ২০১৪ সালের ৪ জুন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচন যথার্থ হয়নি, বলা যায় ভোট ডাকাতির নির্বাচন। নির্বাচনের ফলাফল পাল্টিয়ে দেয়া হয়েছে। তা ছাড়া বিগত দিনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অনেক নেতা অর্থের বিনিময়ে ও স্বজ্জন প্রীতি করে অনেককে মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছেন বলে অভিযোগও রয়েছে।
মন্ত্রী মহোদয়কে আন্তরিক ধন্যবাদ, তিনি সত্য স্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক/জন যুদ্ধ বলে ঘোষণা করেছেন। আমাদের স্মরণ রাখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ/রাজনৈতিক যুদ্ধ, সামরিক যুদ্ধ (CONVENTIONAL WAR) ছিল না। সামরিক বাহিনীর লোকেরা পেশাদার যোদ্ধা-তাদেরকে জাতি লালন পালন ও প্রশিক্ষিত করে যুদ্ধের জন্য। তাদেরকে যুদ্ধ করতেই হবে যে কোন পক্ষে। একাত্তরের রণাঙ্গনে মুক্তিযুদ্বের পক্ষ অবলম্বন করায় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সাধুবাদ।
সেনা বাহিনীর অনেকেই ছিলেন, সেদিন যারা মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেননি। আবার স্বাধীনতার পর তাদের অনেকে সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে বিবেকের বাধাও অনুভব করেননি। সিভিলিয়ান আমলারাও কম যাননি। সিভিলিয়ান আমলা যিনি রাজাকার বাহিনী গঠনের প্রস্তাবকারী ও প্রক্রিয়া সম্পাদনকারী তসলিম উদ্দিন, যার স্বাক্ষরে BLF এর মুক্তিযোদ্ধারা সার্টিফিকেট গ্রহণ করেছেন। ৫ জন সচিব দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা বনে গেলেন। এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েও ক্ষান্ত হননি। তিনি জেনারেল (অব) হেলাল মুর্শেদের রানিংমেট হয়ে প্রচুর অর্থ খরচ করে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রকৌশলী মহোদয়ের পক্ষে আমার কাছে ভোট চাইতে এলে আমি মুখের উপর বলে দিয়েছিলাম তিনি মুক্তিযোদ্ধা নন, তাকে আমি ভোট দেব না। এ ধরনের লোকদের প্রতি আমার করুণা হয়, তারা সমাজে নিজ চেহারা দেখাবেন কি করে? প্রধান প্রকৌশলী ওয়াহিদুর এর দায় দায়িত্ব হেলাল মুর্শেদ এড়াতে পারেন না।
মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা নিয়ে বাড়াবাড়ি করার সুযোগ নেই। ভারতে FF এর প্রশিক্ষণ হয়েছিল ১ লাখ ৬ হাজার, BLF এর ১৩ হাজার, সেনা নৌ বিমান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা তৎকালীন EPR বর্তমান BDR (BGB) পুলিশ, আনসার, মোজাহিদ মিলিয়ে ২০ হাজারের মত। নৌ কমান্ডো ৪ শ ৯৯ জন। বামপন্থীদের একটি অংশ ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন, সংখ্যা আমার জানা না থাকলেও খুব বেশি নয়। সর্বমোট ১ লাখ ৫০হাজার এবং স্থানীয় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭০/৮০ হাজারের মত। কাদেরিয়া, হেমায়েত, কুদ্দুস বাহিনীসহ আরো কিছু বাহিনী রয়েছে। সকলে মিলে ২ লাখ ৩০/৪০ হাজারের মত হবে। এর বেশি হবার সুযোগ নেই।
মুজিব নগর কর্মচারীর সংখ্যাও খুব বেশি নয়। মুজিব নগর কর্মচারী সমিতির সভাপতি জনাব লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক কর কমিশনার ডঃ জাহাঙ্গীর কত মুজিব নগর কর্মচারী বনিয়েছেন সে হিসাব দিতে পারবেন কি না জানি না। ছায়া সরকার বলে খ্যাত সামাদ কত মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রদান করেছেন তার কোন হিসাব নেই।
নেতৃস্থানীয় ও শিক্ষিত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি অংশ নৈতিকতা, সততা/ দৃঢ়তা প্রদর্শনে সক্ষম হননি অর্থ অথবা নেতৃত্বের লোভে। এদের আত্মীয় স্বজন বন্ধুবান্ধবকে মুক্তিযোদ্ধা বানাবার প্রবণতা লজ্জার।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সাল বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে হলরুমে আমি বলেছিলাম ‘সাথী যোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার। এ অহংকার কারো সঙ্গে শেয়ার করা যায় না, যেমন স্ত্রীকে কারো সঙ্গে শেয়ার করা যায় না, আমার হক আমার মায়ের দুধ। মুক্তিযোদ্ধার অহংকার কারো সঙ্গে শেয়ার করবেন না। তারপরও ভুয়াদের ঠেকানো সম্ভব হয়নি। মুক্তিযোদ্ধাদের একটি শ্রেণি নিজেদের সততা ও দৃঢ়তা ধরে রাখতে সক্ষম হননি। যাচাই-বাছাইয়ে সততা, দৃঢ়তা দেখাতে না পারলে আবারো বড় ধরনের ব্যর্থতা আসতে বাধ্য। লোভ আর স্বজনপ্রীতি বন্ধ করে নির্দলীয়ভাবে সততার সঙ্গে কাজ করলে অবশ্যই সফলতা আসবে।
সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের দূরাবস্থার অবসান হয়নি, হবে কিনা জানি না। ২৮/০১/২০১৪ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি সার্কুলার প্রদান করে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত। কিন্তু কোন হাসপাতালই সার্কুলার মোতাবেক মুক্তিযোদ্ধাদেরকে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার কিছু না বললেও বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মহোদয় বলেছেন, ‘সরকারি সার্কুলার দেয়া হলে কি হবে? প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করেনি সরকার।’
মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করতে করতে ৪৩ বছর পার হয়ে গেল। ২৩/১০/১৪ দৈনিক জনকন্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় বিশাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, মন্ত্রী মহোদয় একটু নজর দিলে সমস্যা সমাধানের পথ তৈরি হতে পারে। মুক্তিযোদ্ধা মনোগ্রাম যে কেউ বুকে লাগিয়ে চলাফেরা বন্ধ করা উচিৎ।
২২/১০/১৪ একদল যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে তাদের সুযোগ সুবিধা পুনঃ বহালের দাবিতে, যদিও তারা সংখ্যায় নগন্য। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে তারা নানা প্রকার সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছিলেন। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রায় ২৬ শত মুক্তিযোদ্ধা, যাদের আঘাৎ সামান্য এবং অনেকেই যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে অভিযোগ আছে, তাদের ভাতা ও সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত সঠিক বলে আমার মনে হয়েছে। তাদের একাংশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে। যদি কেউ অ-মুক্তিযোদ্ধা থেকে থাকে/ যুদ্ধাহত না হয়ে থাকে তারা কেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের মত সুযোগ সুবিধা ভোগ করবে?
প্রকৃত সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ সুবিধা সমভাবে প্রদান করা উচিৎ। সকলেরই জানা, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মুক্তিযোদ্ধাদের ৯০ শতাংশ গরীব সাধারণ কৃষক শ্রমিক দিনমজুর তথা মেহনতী মানুষের সন্তান- অশিক্ষিত ও স্বল্পশিক্ষিত। মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে সকলেই সমান, কেউ বড় কেউ ছোট নয়। ১৯৭৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের যে তালিকা হয়েছিল বিভিন্ন কারণে তা সফল হয়নি, সে দিনের উদ্যোগটি সফল হলে আজ সমস্যার সম্মুখীন হতে হত না।
১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে সারাদেশে যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সম্পন্ন করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছিল। মনে করা হয়েছিল রাজনৈতিক ছাপসহ বিভিন্ন কারণে ৫/৭% গোঁজামিল হতে পারে। কিন্তু এতে এত বেশি গোঁজামিল হয়েছে, যা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭ শত ৯০জন মুক্তিবার্তা তালিকাভুক্ত হয়। যাচাই বাছাইকারী অনেক মুক্তিযোদ্ধা দৃঢ়তা দেখাতে ব্যর্থ হন বলেই অনেক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভুক্ত হয়।
গোপনে গোয়েন্দা সংস্থার সহযোগীতায় ১লাখ ৫১ হাজার ৮৬১ নাম লাল বইয়ে তালিকাভুক্ত করা হয়। লাল বই ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত তালিকা নির্ভরযোগ্য। সন্দেহমুক্ত তারপরও কিছু ভুলভ্রান্তি থাকা বিচিত্র নয়। সবুজ বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার তেমন সুযোগ নেই। সবুজ বইয়ের গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছিল ২০১০ সালে নির্বাচিত হেলাল মুর্শেদ গং। ১৯৮৮ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ৪টি তালিকা করা হয়, কোনটাই পুর্ণাঙ্গতা পায়নি মন্ত্রণালয়ের গেজেট বাদে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের (ভারতীয় তালিকা) ৬৯ হাজার ৮ শত ৩৩ জন, মুক্তিবার্তা লাল বইয়ের ১ লাখ ৫১ হাজার ৮৬১ মেনে নেয়া যেতে পারে।
এরশাদ সরকারের আমলে জাতীয় তালিকা, ১ লাখ ২ হাজার, সবুজ মুক্তিবার্তা ৩৪ হাজার ৯২৯ জনের নাম বাদ। বিএনপি সরকারের আমলে ভোটার তালিকা ৮৬ হাজারের তেমন গ্রহণযোগ্যতা নেই। মুক্তিযোদ্ধারা দৃঢ়তা দেখাতে সমর্থ হয়নি বলেই এ অবস্থা। এতদিন যাবৎ যারা মুক্তিযোদ্ধা হয়ে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসছেন সমাজে বুক ফুলিয়ে চলেছেন তারা কি না করতে পারেন? যে কোন ধরনের অঘটন ঘটাতে পারেন। মন্ত্রণালয়ের সতর্ক দৃষ্টি রেখে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, তা না হলে সকল আয়োজন ভেস্তে যাবে।
ক. ভারতীয় তালিকা খ. মুক্তিবার্তা লাল বই যাচাই-বাছাইয়ের আওতামুক্ত রাখবেন বলে ঘোষণা করেছেন মন্ত্রী মহোদয়, সে জন্য মন্ত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ। ২টি তালিকা নির্ভর ও গ্রহণযোগ্য (যদি কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে তা যাচাই করা যেতে পারে)। উল্লেখিত ২ তালিকার সঙ্গে সংযুক্ত করা উচিৎ আরো কয়েকটি তালিকা। যেমন- গ. সেনাবাহিনী গেজেট, (সেনা, নৌ, বিমান, অবসরপ্রাপ্ত সেনা) ঘ. ইপিআর বর্তমান বিজিবি (বিডিআর) গেজেট ঙ. পুলিশ চ. আনসার, ছ. মোজাহিদ গেজেট, জ. নৌ কমান্ডো গেজেট (৪৯৯জন)। ক থেকে জ পর্যন্ত যাচাই-বাছাইয়ের প্রয়োজন নেই।
এবারের যাচাই-বাছাই যেন শেষ যাচাই-বাছাই হয় সে দিকে লক্ষ রাখা দরকার। আইন করে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা করা বন্ধ করা উচিত। মন্ত্রী মহোদয়ের ঘোষণা মোতাবেক ডিজিটাল/কমপিউটারাইজড সার্টিফিকেট প্রদান শুরু করা যেতে পারে। উল্লেখিত ক থেকে জ পর্যন্ত গেজেট/তালিকাভুক্তদের মুক্তিযোদ্ধা সু-রক্ষা আইন প্রনয়ণ করা অতিজরুরী। রাশিয়া, অষ্টেলিয়া, কানাডা, জার্মানীসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মুক্তিযোদ্ধা সু-রক্ষা আইন রয়েছে। আইনে মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধাও নিশ্চিত করা উচিত।
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতি যারা করবে ও সুবিধা ভোগ করবে, এ অপরাধের দায়ে তাদেরকে শাস্তি ভোগ করতেই হবে, সে যেই হোক না কেন? মুক্তিযোদ্ধা সুরক্ষা আইন ছাড়া তা সম্ভব নয়। বাংলাদেশে প্রকৃত সাধারণ অক্ষত মুক্তিযোদ্ধারা অবহেলিত ছিলেন বিগত ৪০ বছর যাবৎ। ৪০ বছর পর কিছুটা মূল্যায়ণ করা হচ্ছে।
মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, মুক্তিযোদ্ধা তালিকা বড়ই গোঁজামিল! সেনাবাহিনী মুক্তিযোদ্ধা গেজেট দেখে আমি অবাক হয়েছি। সেনা বাহিনীর সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মুক্তিযোদ্ধা গেজেটভুক্ত করা হয়েছে। জানা গেছে, সকল বাহিনীতে একই অবস্থা। তাহলে সিভিলিয়ানদের নিয়ে টানাটানি করে লাভ কী?
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৩০ অক্টোবর ২০১৪/শাহ মতিন টিপু
রাইজিংবিডি.কম