পবিপ্রবি ভিসির পদত্যাগ চেয়ে পোস্টারিংয়ের অভিযোগে অধ্যাপক বরখাস্ত

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর ১২(১) এবং পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী সাধারণ আচরণ ও শৃঙ্খলা বিধানের ৯(১) ধারা মোতাবেক তাকে সাময়িকভাবে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ও রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড.সন্তোষ কুমার বসুর পদত্যাগ চেয়ে পোস্টারিং করার চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে এ বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানকে বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র জানায়, মেধাবী শিক্ষার্থী দেবাশীষের আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ও নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকা পবিপ্রবির শিক্ষক শাহীন হোসেন, নওরোজ জাহান লিপি ও মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের ফাঁসি ও তাদের আশ্রয়দাতা হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসি ও রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ চেয়ে পোস্টারিংয়ের করার ঘটনায় অধ্যাপক মেহেদী হাসানের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ কারণেই তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

বিষয়টি স্বীকার করে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বসু মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে বলেন, তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী কার্যকলাপ ও পোস্টারিং এর প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে পবিপ্রবির ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক মো. মেহেদী হাসানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।