ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

১৯৩০ বিশ্বকাপ : কী ছিল অফিসিয়াল পোস্টারে

সাইফ হাসনাত || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:১৫, ১৫ মে ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৯৩০ বিশ্বকাপ : কী ছিল অফিসিয়াল পোস্টারে

দোরগোড়ায় চলে এসেছে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ক্রীড়াযজ্ঞ ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ। প্রতিটি বিশ্বকাপে ফিফা একটি করে আনুষ্ঠানিক পোস্টার অবমুক্ত করেছে। আয়োজক দেশ, আয়োজক দেশের সংস্কৃতি এবং ফুটবলের প্রতি দর্শকদের আবেগ ও ভালোবাসার প্রকাশ ঘটেছে পোস্টারগুলোতে। সেই সব পোস্টার নিয়ে রাইজিংবিডির বিশেষ আয়োজনের প্রথম পর্ব প্রকাশ হলো—

ফুটবল বিশ্বকাপের পোস্টারগুলোতে সমকালীন চিত্রকলার ধরন ও পরিচয় ফুটে উঠেছে। গত ৮৪ বছরে মোট ২০টি পোস্টার প্রকাশ করেছে ফিফা। রাশিয়া বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়েছে ২১তম পোস্টারটিও। প্রায় এক শতাব্দী ধরে প্রকাশ হতে থাকা এই সব পোস্টার আসলে হয়ে উঠেছে কালের সাক্ষী। এতে আয়োজক দেশের শিল্প-সংস্কৃতি, চিত্রকলার রুচি ও সমকালীন অনেক কিছুই প্রকাশ পেয়েছে।

ফুটবল বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে আয়োজক সংস্থা প্রথম পোস্টার অবমুক্ত করে প্রথম আসরের সময়ই। ১৯৩০ সালে ফিফা বিশ্বকাপের আসর বসে উরুগুয়েতে। স্বাগতিক উরুগুয়েই প্রথম আসরের শিরোপা ঘরে তুলে। ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারায় তারা।

এই বিশ্বকাপের পোস্টারটি আঁকেন উরুগুয়ের শিল্পী গুইলেরমো লাবোরদে। ১৯৪০ সালে মৃত্যুবরণ করা লাবোরদের পেইন্টিংয়ে হাতেখড়ি হয় তার নিজ দেশেই। তার মেধা ও সম্ভাবনা দেখে উরুগুয়ে সরকার চিত্রকলায় উচ্চতার পড়াশোনার জন্য তাকে ফ্লোরেন্স, রোম, প্যারিস ও স্পেনে পাঠায়।

১৯৩০ সালের বিশ্বকাপের জন্য লাবোরদে যে পোস্টারটি এঁকেছেন, তাতে দেখা যায় একজন গোলরক্ষক লাফিয়ে উঠে গোলবারের বাঁ দিকের উপরের কোণ থেকে গোল সেভ করছেন। এই চিত্রের মাধ্যমে ফুটবল যে মানুষের সামর্থ্যের কঠিন পরীক্ষা নেয় তা প্রমাণ করা হয়েছে। একই সাথে এর মাধ্যমে এটাও বোঝা যায় যে, মানুষ যখন তার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে চেষ্টা করে, তখন কঠিনসাধ্য কাজও অনায়াসসাধ্য হয়ে যায়।

পোস্টারটিতে কড়া নকশায় লেখা আছে ‘1er Campeonato Mundial de Futbol’ স্প্যানিশ এই কথার বাংলা হলো ‘প্রথম বিশ্ব সকার চ্যাম্পিয়নশিপ’। এই লেখার নিচে আছে ‘Uruguay 1930 Montevideo 15 Julio Agosto 15’, এতে উরুগুয়ের রাজধানী মোন্তেবিদেওর কথা বলা হয়েছে।

লাবোরদে ১৯৩০ সালের বিশ্বকাপের পোস্টার আঁকায় ডেকো চিত্রকলার ধরন অনুসরণ করেছেন। এই ধরনের চিত্রকলা থেকেই মানুষ বড় অবকাঠামো তৈরির অনুপ্রেরণা পেয়েছে। এই ধরনের চিত্রকলা ঠিক কতো শতাব্দীতে শুরু হয়, তার সুনির্দিষ্ট ইতিহাস পাওয়া মুশকিল হলেও এটা নিশ্চিত যে, ডেকো চিত্রকলা চিত্রকরদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় ছিলো। শিল্প সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ সব দেশেই ডেকো চিত্রকলার সন্ধান পাওয়া যায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৫ মে ২০১৮/সাইফ হাসনাত/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়