ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দোকানের জন্য টিভি কিনে ওয়ালটন পণ্যে ঘর ভরেছে মাসুমের

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:০৭, ২৫ জানুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দোকানের জন্য টিভি কিনে ওয়ালটন পণ্যে ঘর ভরেছে মাসুমের

মো. মাসুম হাওলাদারের হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

জাকির হুসাইন : ‘অর্থনৈতিকভাবে খুবই খারাপ অবস্থা আমাদের। বাসায় টিভি-ফ্রিজ কিছুই নেই। তবে খুব দরকারের কারণে ওয়ালটনের একটা ৩২ ইঞ্চি এলইডি টিভি কিনি। চায়ের দোকানের জন্য কেনা ওই টিভিতে এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পেয়েছি। তাতেই আমাদের ঘর ভরে গেছে ওয়ালটন পণ্যে। ঠিক প্রয়োজনের সময় এমন উপহার পেয়ে আমরা খুবই আনন্দিত।’

কথাগুলো মো. মাসুম হাওলাদারের। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারী পাড়ায়। তবে গত ১৫ বছর ধরে বাবা-মার সঙ্গে ঢাকার বনানীর করাইলের টি অ্যান্ড টি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। চায়ের দোকান চালানোর পাশাপাশি পড়াশুনাও করছেন। এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেবেন। ছোট ভাই এসএসসি পাশ করে মাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছেন। তবে অভাব অনটনের কারণে ছোট ভাই গ্রামের বাড়িতে চাচা-চাচিদের সঙ্গে থাকেন। সেখানে থেকেই সে লেখাপড়া করছেন।

মো. মাসুম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। চা বিস্কুটসহ কিছু মুদি পণ্য বিক্রি করে জীবন-যাপন করি। টিভি-ফ্রিজের মতো দামি দামি জিনিস কেনার মতো সামর্থ্য আমাদের নাই। তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের পরিবারের অবস্থা খুবই খারাপ যাচ্ছিল। ব্যবসার অবস্থাও ভালো নয়। বাসায় না হলে চলে কিন্তু ব্যবসার খাতিরে দোকানে অন্তত একটা টিভি দরকার ছিল। দোকানে একটা বক্স টিভি ছিল ঠিকই। কিন্তু তা আগের মতো সার্ভিস দেয় না। ছবি ঝিরঝির করে। পাবলিক গালমন্দ করে। এতে নিজেদেরও খারাপ লাগে। কিন্তু কিছুই করার ছিল না।’

তিনি বলেন, ‘এদিকে জানতে পারি ওয়ালটন পণ্যে লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার অফার দিয়েছে। তাই কম টাকার মধ্যে একটি টিভি কিনে উপহার পাওয়ার আশা করি। তবে আমি এটাও জানি যে, এই পুরস্কার পাওয়া এতো সহজ নয়। কারণ পণ্য কিনলেই যে লাখ টাকা পাওয়া যাবে এমন না। ভাগ্য ভালো হলে লাখে হয়তো একজন এমন পুরস্কার পাবে। সেই লাখে একজন হতে পারব কি না এটাই আসল কথা।’

মাসুম বলেন, ‘একে প্রয়োজন তার ওপর উপহার পাওয়ার আশায় ওয়ালটন টিভি কেনার পরিকল্পনা করি। গত ১৭ জানুয়ারি গুলশানের আবির ইলেকট্রনিক্সে যাই। অনেক যাচাই-বাছাই করে ১৯ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে ৩২ ইঞ্চির একটি এলইডি টিভি কিনি। এর পর নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে টিভি নিয়ে বাসায় চলে যাই।’

 


ওয়ালটনের ভাগ্যবান ক্রেতা মাসুমকে নিয়ে ঘোড়ার গাড়িতে আনন্দ মিছিল

 

মাসুম বলেন, ‘তারপর কেনা টিভিটি নিয়ে দোকানে চলে যাই। দোকানে গিয়ে টিভিটি সেট করছিলাম। এর মধ্যেই শোরুম থেকে আমাকে ফোন দেয়। ফোনেই জানানো হয়, আমি নাকি পুরস্কার পেয়েছি। তাও আবার সবচেয়ে বড়টা। অর্থাৎ এক লাখ টাকা। ফোন কেটে দিয়ে মোবাইলের মেসেজেও দেখি এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার লেখা।’

লাখ টাকা পাওয়ার অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই সংবাদ শুনে আমার কেমন লেগেছিল তা বলতে পারব না। তবে এতোটুকু বলতে পারি, এই খবর আমার জীবনে সেরা খবর। যে কোনো পুরস্কার পেলে মানুষ খুশি ও আনন্দিত হয়। আমার ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে আর দশজনের চেয়ে আমার খুশির মাত্রা একটু বেশি।  কারণ এক লাখ টাকা দিয়ে ওয়ালটন থেকে যে সব পণ্য কিনেছি, যেগুলোর প্রয়োজনীয়তা আরো অনেক আগে থেকেই ছিল। শুধু আর্থিক সীমায় আটকে ছিল প্রয়োজনীয়তা। তারপরেও আগামী ২/৩ মাসের মধ্যে যে কোনো ভাবে বাসার জন্য টিভি ও ফ্রিজ কিনতাম। কিন্তু তার আর দরকার হবে না। ওয়ালটনের সহায়তায় শুধু টিভি ফ্রিজ নয়, এখন ইলেকট্রনিক্সের অতি দরকারি সব পণ্যই হাতে পেয়েছি। আমাদের ঘর ভরে গেছে ওয়ালটন পণ্যে। প্রয়োজনের সময় একেবারে টাইমিং হয়েছে। আমার মা-বাবা এবং সকল আত্মীয়-স্বজন মহাখুশি।’

মাসুম বলেন, ‘ওয়ালটন কোম্পানির জিনিস কিনলে লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়া যাবে এটা লোকের মুখে শুনেছি। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমেও এ ব্যাপারে খবর দেখেছি। তখনই আমি ওয়ালটনের পণ্য কেনার ইচ্ছা করি। আর যখন কিনলাম তখন জীবনের সব চেয়ে বড় পুরস্কারটি পেলাম। পুরস্কারের এই টাকা দিয়ে ৩০০ লিটারের একটা ডিপ ফ্রিজ, সাড়ে ১৫ সিএফটির একটা নরমাল ফ্রিজ, ৩২ ইঞ্চির একটা স্মার্ট এলইডি টিভি, ব্লেন্ডার, রাইস কুকার, কারি কুকার, সিলিং ফ্যান, চার্জার লাইটসহ মোট ৯টি পণ্য নিয়েছি। এগুলো আমাদের খুবই দরকার ছিল।’ 

ওয়ালটন পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ওয়ালটন আমাদের দেশীয় কোম্পানি। তাদের পণ্যের মান অনেক ভালো। আর যদি দামের কথা বলেন, তাহলে বলব সব থেকে সাশ্রয়ী মূল্য কেবল ওয়ালটনেরই। আমার পরিচিত অনেকেই ওয়ালটন পণ্য ব্যবহার করেন। তারাও সবাই ওয়ালটন পণ্যকে ভালো বলছে। এমন অফার দিয়ে ক্রেতাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি ওয়ালটন কোম্পানিকে ধন্যবাদ জানাই।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জানুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ