ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

অবশেষে মায়ের স্পর্শ পেল শিশুটি

সজীব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:১৬, ৫ আগস্ট ২০১৫   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
অবশেষে মায়ের স্পর্শ পেল শিশুটি

হাসপাতালের বেডে শিশুটি

মেডিক্যাল প্রতিনিধি : মাগুরায় মায়ের গর্ভে গুলিবিদ্ধ শিশুটি অবশেষে মায়ের স্পর্শ পেয়েছে। জন্মের ১৩ দিন পর মায়ের কোলে যায় শিশু সুরাইয়া।

 

আজ বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ২১১ নম্বর নবজাতক ওয়ার্ড থেকে শিশুটিকে ২১২ নম্বর গাইনী ওয়ার্ডে মায়ের কোলে দেওয়া হয়। মায়ের দুধ খাওয়ানোর পর আবার তাকে নবজাতক ওয়ার্ডে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। 

 

পেটিয়াটিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফ উল হক কাজল জানান, দুপুরের দিকে নবজাতকটিকে তার মায়ের কোলে দেওয়া হয়। সে মায়ের দুধ পান করে। মা-শিশু ভালো আছে।

 

সন্তানকে কোলে পেয়ে মা আনন্দে আত্মহারা হন বলে জানান তিনি।

 

এলাকায় আধিপত্য নিয়ে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় এলাকায় গত ২৩ জুলাই যুবলীগকর্মী কামরুল ভূইয়ার সঙ্গে সংগঠনের কর্মী মহম্মদ আলী ও আজিবরের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।

 

ওই সময় গুলিতে কামরুলের বড় ভাই বাচ্চু ভুইয়ার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী নাজমা (৩০), প্রতিবেশী মিরাজ হোসেন আহত এবং তার চাচা আব্দুল মোমিন নিহত হন। ওই রাতেই মাগুরায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নাজমার গুলিবিদ্ধ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হয়। দুদিন পর শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়। কিন্তু তখন মা মাগুরায় চিকিৎসাধীন ছিলেন। 

 

শিশুটিকে বাঁচাতে তার মায়ের পাশে থাকার উপর গুরুত্ব দেন চিকিৎসকরা। সেজন্য ৩০ জুলাই মা নাজমা বেগমকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় আনা হয়। তারপর থেকে মা ও মেয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পৃথক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিলেন।  

 

তখন ঢামেক হাসপাতালে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আব্দুল গফুর বলেন, ‘মায়েরও চিকিৎসা প্রয়োজন। তবে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন শিশুকে মায়ের সঙ্গ ও বুকের দুধ দেওয়া।’

 

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুয়ে নাজমা বলেন, ‘সেখানকার (মাগুরার) চিকিৎসকরা বলেছেন, আমার সন্তানের পেটে যদি গুলি না লাগত, তাহলে সেই গুলিতে আমার খাদ্যানালী ক্ষতিগ্রস্ত হতো, এমনকি আমি মারাও যেতে পারতাম। তার (শিশু) জন্য আমি বেঁচে গেছি।’

 

চিকিৎসকরা জানান, মাতৃগর্ভে থাকা শিশুটির বুকের ডানদিন দিয়ে গুলি ঢুকে পিঠ দিয়ে বেরিয়ে গেছে।

 

মাতৃগর্ভে শিশুটির গুলিবিদ্ধ হওয়ার এই ঘটনা সারাদেশে আলোচনার সৃষ্টি করে। শিশুটির জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে। 

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ আগস্ট ২০১৫/সজীব/বকুল 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়