ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

হৃদরোগ নিয়ে যত ভুল ধারণা

সাইফুল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:৪৩, ৩০ মে ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
হৃদরোগ নিয়ে যত ভুল ধারণা

দেহঘড়ি ডেস্ক : বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এ রোগে মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। নানা কারণেই এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ নিয়ে রয়েছে ভুল ধারণাও। সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছেন ডা. দেবি শেঠি।

 

এক. শাক জাতীয় নয়, এমন খাবার, যেমন বেশি বেশি মাছ খাওয়া হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী নয়।

দুই. যেকোনো সুস্থ মানুষ হঠাৎ করেই হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে। একে বলে নীরব আক্রমণ। এ জন্য ত্রিশোর্ধ্ব সকলের উচিত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা।

তিন. মানুষ উত্তরাধিকার সূত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারে।

চার. জীবনে সবকিছু নিখুঁত হবে- এমন ভাবা যাবে না। তাহলে হার্টের ওপর কিছুটা চাপ কমবে।

পাঁচ. জগিং করার চেয়ে হাঁটা ভালো। হৃদযন্ত্রের যত্ন নেওয়ার জন্য কঠিন ব্যায়াম জরুরি নয়। জগিং করলে মানুষ দ্রুত ক্লান্ত হয়ে যায় এবং জয়েন্টে ব্যথা হয়।

ছয়. নিম্ন রক্তচাপে যারা ভোগেন, তারাও হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন, তবে সেটা খুবই বিরল।

সাত. কোলেস্টেরলের মাত্রা অল্প বয়স থেকেই ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। সুতরাং সচেতন হতে হবে কিশোরবেলা থেকেই।

আট. হৃদযন্ত্রের জন্য সবচেয়ে ভালো ফল এবং সবজি। আর সবচেয়ে খারাপ তৈলাক্ত খাবার। এ জন্য সূর্যমুখী বা জলপাই যাই বলুন সব তেলই খারাপ।

নয়. নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে সুগার এবং কোলেস্টেরলের স্বাভাবিক মাত্রা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। তা ছাড়া রক্তচাপ পরিমাপও জরুরি।

দশ.  হার্ট অ্যাটাক হলে প্রাথমিকভাবে রোগীকে শুইয়ে দিতে হবে। এরপর জিহ্বার নিচে একটি অ্যাসপিরিন ট্যাবলেট রাখতে হবে। যদি পাওয়া যায় তবে অ্যাসপিরিনের পাশাপাশি একটি সরবিট্রেট ট্যাবলেটও রাখতে হবে। এরপর দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। কেননা প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়।

এগারো. ইসিজি ছাড়া হৃদরোগজনিত ব্যথা এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য করা খুব কঠিন।

বারো. রক্তচাপের স্বাভাবিক মাত্রা (১২০/৮০) না থাকলেও অনেকে পুরোপুরি সুস্থ থাকতে পারেন।

তেরো.  নিকট আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে করলে সন্তানের হৃদরোগ হতে পারে। কেননা এটি জন্মগত অস্বাভাবিকতার দিকে ঠেলে দেয়।

চৌদ্দ. অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে হার্ট অ্যাটাক হয়, এটা সঠিক নয়।

পনেরো. অ্যাজমা রোগীদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, এটা সঠিক নয়।

ষোলো. রক্তে শ্বেতকণিকা এবং হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে হৃদরোগ হবে, এমন নয়। কিন্তু হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখা জরুরি।

সতেরো. যারা রাতের শিফটে কাজ করেন তাদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেশি, এ ধারণা ভুল।

আঠারো. মেয়েদের চেয়ে ছেলেরা হৃদরোগে বেশি আক্রান্ত হয়, কারণ প্রকৃতি মেয়েদের ৪৫ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দেয়।

 

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়