ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

‘তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করের ব্যবধান বাড়ানো প্রয়োজন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ১১ জুন ২০২২   আপডেট: ২১:৪৩, ১১ জুন ২০২২
‘তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করের ব্যবধান বাড়ানো প্রয়োজন

আসন্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমানো হয়েছে। এতে করে দুই পক্ষের করহারের পার্থক্য আগের মতোই রয়েছে। ফলে বিদেশি ও দেশি ভালো কোম্পানি পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহী হবে না। তাই তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট করহারের ব্যবধান ১০ শতাংশ করা প্রয়োজন বলে মনে করে দি ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। 

শনিবার (১১ জুন) রাজধানীর ইকোনমিক রিপোটার্স ফোরামের কার্যালয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রতিক্রিয়া বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশিদ ও সেক্রটারি এ কে এম কামরুজ্জামানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনের বক্তারা বলেন, ‘বিদেশি ভালো ভালো কোম্পানিগুলোকে শেয়ারবাজারে নিয়ে আসতে হলে তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর কর হারের পার্থক্য ১০ শতাংশ করা প্রয়োজন। আমরা এটা নিয়ে প্রস্তাবও করেছিলাম। কিন্তু বিষযটি আমলে নেওয়া হয়নি। এছাড়াও ব্যাংক এবং এনবিএফআই এর করহার কমানো হয়নি। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানগুলোর করহার কমলে তারা সেই অর্থ আবারও বিনিয়োগ করার সূযোগ তৈরি হতো। এতে করে তারল্য বৃদ্ধি পেত।’ 

সংবাদ সম্মেলনে আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মামুনুর রশিদ বলেন, গত ৯ জুন জাতীয় সংসসদে অর্থমন্ত্রী ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার জাতীয় বাজেটে উপস্থাপন করেন। করোনা পরবর্তী সময়ে এ বিশাল বাজেট অর্জন সরকারের জন্য বিশাল চ্যালেঞ্জ। আইসিএমএবি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রফেশনাল অ্যাকাউন্টেন্টস হিসেবে বাজেটে যে জিপিডি গ্রোথ ৭.৫ শতাংশ ধরা হয়েছে, তা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে চায়।

তিনি বলেন, ‘ভ্যাট বিধিমালা ২০১৬ মোতাবেক সিএমএ গণ বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে হিসাব ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য ফাইন্যান্সিয়াল অডিটের পাশাপাশি কস্ট অডিট বাস্তবায়নের দাবি জানাই। পার্শ্ববর্তী ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কস্ট অব গুডস সোল্ড স্টেটমেন্ট যদি কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টসদের মাধ্যমে অডিট করা যায়, তবে কস্ট ইফিসিয়েন্সি বাড়বে, খরচ কমবে। এতে সামগ্রিকভাবে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ 

আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি নিরাপত্তা, চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য নিরাপত্তা, জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা, শিল্পায়ন, ব্যবসা প্রসার ও পূজি বাজার উন্নয়ন, গার্মেন্টস্ সেক্টরে বিশেষ সুবিধা প্রদান, পরিবহন শিল্প এবং বিমান পরিবহন শিল্পের জন্য বিশেষ সুবিধা প্রদানসহ এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কর কাঠামোতে স্টার্টআপ সেন্ড বক্স ভালো উদ্যোগ, এখানে নতুন উদ্যোগতাদের জন্য সকল ধরনের উদ্যোগকে সমান সুযোগ দেওয়া উচিত। যাতায়াত খরচ সকলের অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য যাতায়াত ভাতায় করমুক্ত সীমা ৩০ হাজার টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৬০ হাজার করা উচিত। এছাড়াও শ্রম আইন অনুসারে প্রদানকৃত ডব্লিউপিপিএফ খাতে খরচকে অননুমোদিত করা সঠিক সিদ্ধান্ত হবে না। এতে অনেক প্রতিষ্ঠান এই খাতে খরচ প্রদানে অনিহা প্রকাশ করবে।’ 

মামুনুর রশিদ বলেন, ব্যক্তি খাতে লভ্যাংশ আয়ের উপর কর্তনকৃত করকে চূড়ান্ত কর হিসেবে ধার্য্য করার ব্যবস্থা করা দরকার, কারণ এই খাতে আয়ের উপর কর কর্তনের প্রমাণ সংগ্রহ করা অনেক সময়েই সম্ভব হয় না এবং কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ ব্যাপার হয়, মাঠ পর্যায়ে করদাতাকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
 

ঢাকা/এনটি/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়