ঢাকা     রোববার   ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ||  অগ্রহায়ণ ২৩ ১৪৩১

শেয়ার আত্মসাতের অভিযোগ: গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

নুরুজ্জামান তানিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৫৪, ২৫ এপ্রিল ২০২৪   আপডেট: ২১:৫৫, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শেয়ার আত্মসাতের অভিযোগ: গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

পুঁজিবাজারের সদস্যভুক্ত ব্রোকারেজ হাউজ গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের (ট্রেক নম্বর- ৫৯) বিরুদ্ধে একজন নারী বিনিয়োগকারীর তহবিল ও শেয়ার আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। সেই নারী বিনিয়োগকারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কমিটিকে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সম্প্রতি বিএসইসির জারি করা এক আদেশে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তবে, ব্রোকারেজ হাউজ গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের দাবি, তাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। বিএসইসির তদন্তের পর প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন—বিএসইসির সহকারী পরিচালক মো. মারুফ হাসান, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপক দেবাশীষ রায় এবং সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) সিনিয়র সহকারী মহাব্যবস্থাপক মনিরুল ইসলাম।

বিএসইসির আদেশে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মনে করে, পুঁজিবাজার ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বৃহত্তর স্বার্থে গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেডে রক্ষণাবেক্ষণ করা সুলতানা ইয়াসমিনের (বিও হিসাব-১২০৩৬২০০৫৩০৪৫৯২০) তহবিল ও শেয়ার আত্মসাৎ করার বিষয়টি তদন্ত করা প্রয়োজন। চারটি শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে এ তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করার নির্দেশ দেওয়া হলো। শর্তগুলো হলো—বিও অ্যাকাউন্ট নম্বরের বিশদ বিবরণ খুঁজে বের করা, উল্লিখিত বিও অ্যাকাউন্ট থেকে তহবিল এবং শেয়ার আত্মসাতের পরিমাণ খুঁজে বের করা, উল্লিখিত বিও অ্যাকাউন্ট আত্মসাতের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের খুঁজে বের করা এবং তহবিল ও শেয়ার আত্মসাতের বিষযয়ে অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্য বের করা।

এ পরিস্থিতিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯ এর সেকশন ২১ ধারা (১৯৬৯ সালের অধ্যাদেশ নং XVII) এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন আইন, ১৯৯৩ এর ধারা ১৭ক এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তিনজন কর্মকর্তার সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। উল্লিখিত বিষয়সহ অন্যান্য বিষয়াদি যথাযথভাবে পরিপালন করেছে কি না, সে বিষয় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনা করবে তন্ত কমিটি। এ আদেশ জারি করার দিন থেকে ৬০ দিনের মধ্যে কমিটির সদস্যরা এ সংক্রান্ত তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। পাশাপাশি, এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রিন ডেল্টা সিকিউরিটিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) রাইজিংবিডিকে বলেছেন, এরকম একটি অভিযোগ আমাদের কাছেও এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বিএসইসির সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা জানিয়েছে, যেহেতু বিনিয়োগকারী অভিযোগ করেছে, সেহেতু বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আমরা সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীর সঙ্গে কথা বলেছি। তার কাছ থেকে স্যাটিসফ্যাক্টরি কোনো তথ্য পাইনি। কিন্তু, আমাদের কাছে প্রসেস গ্যাপ রয়েছে বলে মনে হয় না। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে কমিশনের পক্ষ থেকে জানিয়েছিল। তবে, এ সংক্রান্ত চিঠি এখনও হাতে পাইনি।

এনটি/রফিক


সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়