ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ২ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব

কলকাতা ব্যুরো || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৪:৫২, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব

নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছে। আজ (বুধবার) দুপু‌রে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশের দূত‌কে তলব করা হয়।

সূত্র মারফত জানা গেছে, গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশের জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ ‘ভারত-বিরোধী শক্তিকে’ আশ্রয় দিয়ে উত্তর-পূর্বের সাতটি রাজ্যকে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করার ডাক দিয়েছিলেন। সেই মন্তব্যে তীব্র অসন্তুষ্ট দিল্লি।

আরো পড়ুন:

সূত্র জানায়, বাংলাদেশি রাজনৈতিক নেতাদের ভারত-বিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্যের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানাতে ভারত নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহকে তলব করেছে। 

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ আয়োজিত এক সমাবেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করেছিলেন ওই হামলায় অভিযুক্তদের ভারত মদদ দিচ্ছে। ভারত এই অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে নাকচ করে দিয়েছে।

এদিকে, হাইকমিশনারকে তলব করা নিয়ে নিজেদের ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, অবনতির দিকে থাকা বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের গভীর উদ্বেগ জানাতে হাইকমিশনারকে তলব করা হয়। এ সময় ‘কিছু চরমপন্থী গোষ্ঠীর’ কর্মকাণ্ডের দিকে তার মনোযোগ বিশেষভাবে আকর্ষণ করা। যারা ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় মিশনকে ঘিরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সৃষ্টির পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়েছে, বাংলাদেশে সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘চরমপন্থী মহল’ যে বয়ান তৈরির চেষ্টা করছে, ভারত তা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করছে। দুঃখজনকভাবে, অন্তর্বর্তী সরকার এসব ঘটনার বিষয়ে এখনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পরিচালনা করেনি কিংবা ভারতের সঙ্গে অর্থবহ কোনো তথ্য প্রমাণও বিনিময় করেনি।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে ভারতের ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আছে। এর ভিত্তি গড়ে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধের সময়কার সংগ্রামে এবং যা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনগণের সঙ্গে জনগণের যোগাযোগমূলক উদ্যোগের মাধ্যমে আরো সুদৃঢ় হয়েছে। ভারত বাংলাদেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার পক্ষে আছে। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়ে আসছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ভারতের প্রত্যাশা- কূটনৈতিক বাধ্যবাধকতার আলোকে বাংলাদেশে অবস্থিত বিভিন্ন মিশন ও পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়