আ.লীগ মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করে আসছে: আলাল
নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছেন, “আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন ধরেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত চেতনার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে শুনে তারাই আজ নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে, অথচ গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানুষের ভোটাধিকার ধ্বংস করেছে।”
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত ‘মহান মুক্তিযুদ্ধ, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলাল বলেন, “আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে ক্ষমতায় আসেছিল। বছরের পর বছর ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, তারা কখনোই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি হতে পারে না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানে জনগণের অধিকার, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার— যা আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে ধ্বংস করেছে।”
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “ইনশাআল্লাহ আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। এর মধ্য দিয়ে তার দীর্ঘ নির্বাসনের অবসান ঘটবে।”
তিনি বলেন, “২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের বড়দিন হলেও এই দিনটি বাংলাদেশের রাজনীতিতেও একটি বড় দিন হয়ে থাকবে।”
“তারেক রহমানের দেশে ফেরা মানে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে নতুন গতি আসবে। এটি শুধু বিএনপির জন্য নয়, বরং দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের জন্যও একটি আশাবাদের দিন।”
জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি প্রসঙ্গে সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, “ছাত্রসংসদের কয়েকটি নির্বাচনে জয়ী হলেই সারা দেশে জনপ্রিয়তা প্রমাণ হয় না। দেশের মানুষ কার পক্ষে, তা নির্ধারণ হবে জাতীয় রাজনীতির মাঠে।”
তিনি বলেন, জনগণের রায় ছাড়া কেউ জনপ্রিয় শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না।
আলোচনা সভায় ড্যাবের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার বলেন, “১৯৭১ সালে যখন সাধারণ মানুষ দিকবিদিকশূন্য অবস্থায় ছিল, তখন একটি ঐতিহাসিক ঘোষণার মাধ্যমে জাতিকে আলোকবর্তিকা দেখান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।”
তিনি বলেন, “শহীদ জিয়া শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, বরং স্বাধীনতার পর দেশের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন এনে একটি বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ধারার সূচনা করেন।”
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে এবং কোষাধ্যক্ষ ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন ড্যাবের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. আবুল কেনান, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. খালেকুজ্জামান দীপুসহ ড্যাব ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
ঢাকা/আলী/রাসেল