হাদির ওপর হামলা
ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, হেলমেট ও ভুয়া নম্বর প্লেট উদ্ধার
পশ্চিম আগারগাঁও বনলতা আবাসিক এলাকায় একটি বাড়ির নিচতলার পার্কিং থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার হয়। ছবি: ডিএমপি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও হেলমেটটি উদ্ধার হয়েছে। একই সঙ্গে মোটরসাইকেলে ব্যবহৃত ভুয়া নম্বর প্লেটটিও একটি ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হয়েছে। এগুলো পরে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত রবিবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বনলতা আবাসিক এলাকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এগুলো উদ্ধার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ তথ্য জানায়।
রাজধানীর পুরানা পল্টন এলাকায় ১২ ডিসেম্বর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে দুর্বৃত্তরা রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে। তিনি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। হাদিকে গত সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
সিটিটিসি সূত্র জানা যায়, সিটিটিসির একটি টিম সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির নম্বর প্লেট পরিবর্তনের বিষয়টি উদঘাটন করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা শেরেবাংলা নগর থানাধীন পশ্চিম আগারগাঁও বনলতা আবাসিক এলাকায় একটি বাড়ির নিচতলার পার্কিং থেকে মোটরসাইকেল ও হেলমেটটি উদ্ধার করে। পরে ভুয়া নম্বর প্লেট পরিত্যক্ত অবস্থায় ম্যানহোলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
মোটরসাইকেলটির মালিকানা প্রসঙ্গে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটির প্রথম মালিক ছিলেন আবদুর রহমান নামের এক ব্যক্তি। পরে জনৈক শহিদুল, রাসেল, মার্কেটপ্লেস, ওবায়দুল ইসলাম, আনারুল, আনারুল থেকে আবার ওবায়দুল হয়ে শুভ নামের এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলটি কেনেন। সব মিলিয়ে ৮ জনের হাতবদল হয়ে মাইনুদ্দিন ইসলামের নামের এক ব্যক্তি সর্বশেষ মোটরসাইকেলটি কেনেন। এ হামলার ঘটনায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন ফয়সালের সহযোগী মো. কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মাইনুদ্দিন এটি কেনেন।
ওসমান হাদির ওপর হামলায় জড়িত মূল সন্দেহভাজন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ফয়সল করিম মাসুদ ও তার সহযোগী আলমগীর শেখ। তারা দুজন ভারতে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র।
ঢাকা/এমআর/এসবি