‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচিতে বাধা, পথ ছাড়ল জুলাই ঐক্য
ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সকল খুনিকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া ও ভারতীয় ‘প্রক্সি রাজনৈতিক দল’, মিডিয়ালীগ ও সরকারি কর্মকর্তাদের অব্যাহত ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে জুলাই ঐক্যের ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ আটকে দেয় পুলিশ।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় রাজধানীর উত্তর বাড্ডার হোসেন মার্কেটর সামনে মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার পর সেখানে ৪০ মিনিটের মতো অবস্থান নেয় জুলাই ঐক্যের ব্যানারে আসা ছাত্র-জনতা।
আয়োজকরা সেখানে ভারতকে হুঁশিয়ার করে বক্তব্য দেওয়ার পর ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে সড়ক ছাড়েন তারা। স্বাভাবিক হয় যান চলাচল।
মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন কর্মসূচিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি অংশ, ডাকসু ও জাকসুর একাধিক নেতা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও স্কুলের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশ নেন।
জুলাই ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ভারতের প্রক্সি (ছায়া) শক্তিগুলো নতুন করে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের ভারত আশ্রয় দিয়েছে বলেও অভিযোগ করে সংগঠনটি।
তাদের দাবি, আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা জুলাই আন্দোলনের এক জ্বলন্ত মুখ শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় ভারতীয়দের একাংশ আনন্দ-উল্লাস করেছে।
এসব ঘটনাকে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বর্ণনা করে তারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ২.০’-তে কোনো আধিপত্যবাদ আমরা মেনে নেব না।
এই কর্মসূচি থেকে ভারত সরকার ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতিও আল্টিমেটাম দেওয়া হবে বলে জানায় জুলাই ঐক্য। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুনিদের ফেরত না দিলে পরবর্তী পরিস্থিতির দায় দিল্লি ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নিতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
জুলাই ঐক্য আরো জানায়, ভারত ও তার প্রক্সি শক্তিগুলো বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও নির্বাচন চায় না বলেই একের পর এক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে। এ প্রেক্ষাপটে চব্বিশের ছাত্র-জনতাকে আবার দেশ রক্ষার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
ঢাকা/রায়হান/রাসেল