ঢাকা     বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ||  পৌষ ৩ ১৪৩২

Risingbd Online Bangla News Portal

দুই বাল্যবন্ধু খুঁজে পেল মূল্যবান রত্ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:০৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫   আপডেট: ১৮:১৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫
দুই বাল্যবন্ধু খুঁজে পেল মূল্যবান রত্ন

সম্প্রতি শীতের এক সকালে মধ্য ভারতের হীরা খনির অঞ্চল পান্নায় দুই বাল্যবন্ধু এমন একটি বস্তুর সন্ধান পেয়েছেন যা তাদের জীবন চিরতরে বদলে দিতে পারে। সতীশ খটিক এবং সাজিদ মোহাম্মদ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া জমিতে একটি বিশাল চকচকে পাথরের সন্ধান পান।

তারা পাথরটি শহরের সরকারী হীরা মূল্যায়নকারীর কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখন তারা জানতে পারেন, তাদের ওই পাথরটি ১৫ দশমিক ৩৪ ক্যারেটের হীরা। আর এটি যেই-সেই হীরা নয়, বিদ্যমান প্রাকৃতিক হীরার সেরা জাতগুলোর মধ্যে এটি একটি।

হীরা মূল্যায়নকারী অনুপম সিং বিবিসি হিন্দিকে বলেন, “পাথরটির আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৫০ থেকে ৬০ লাখ রুপি। এটি শিগগিরই নিলামে তোলা হবে।”

সরকার ত্রৈমাসিক নিলাম আয়োজন করেছে। ভারত এবং বিদেশ থেকে ক্রেতাদের হীরার জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে।

অনুপম বলেন, “আনুমানিক দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় মূল্যের ওপর এবং র‍্যাপপোর্ট রিপোর্ট নির্ধারিত মানদণ্ডের উপর।”

র‍্যাপপোর্টকে স্বাধীন হীরা ও গহনা বাজার বিশ্লেষণের একটি শীর্ষস্থানীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে ব্যাপকভাবে বিবেচনা করা হয়।

খটিক ও মোহাম্মদ বলেছেন,“আমরা এখন আমাদের বোনদের বিয়ে দিতে পারব।”

২৪ বছর বয়সী খটিক একটি মাংসের দোকান চালান এবং ২৩ বছর বয়সী মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। তারা দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছেন এবং দুজনই পরিবারের সবচেয়ে ছোট ছেলে।

প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাদের পরিবার হীরা খুঁজে বের করার জন্য তাদের ভাগ্য চেষ্টা করে আসছে। এটি এই জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে একটি সাধারণ অনুসন্ধান।

মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের পান্না জেলাটি ভারতের বেশিরভাগ হীরার মজুদের স্থল এবং হীরা শিকারিদের জন্য একটি প্রধান গন্তব্যস্থল। যদিও বেশিরভাগ খনি ফেডারেল সরকার নিয়ন্ত্রণ করে, এরপরেও রাজ্য কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর স্থানীয়দের কাছে নামমাত্র হারে ছোট ছোট জমি লিজ দেয়। শহরে চাকরির সুযোগ খুব কম থাকায়, বাসিন্দারা তাদের ভাগ্য উন্নয়ন্ন করার জন্য হীরা আবিষ্কারের আশায় জমি লিজ নেন। কিন্তু বেশিরভাগই খালি হাতে ফিরে আসেন।

ঢাকা/শাহেদ

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়