বিচার না হলে গণআন্দোলন, সাজিদ হত্যার প্রতিবাদে ইবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
ইবি প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার বিচার দাবিতে অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রক্তমাখা লাল কাফনে মোড়ানো প্রতীকী লাশ ও প্রতিবাদী স্লোগানের মাধ্যমে ‘হত্যাকাণ্ডের ঘেরাও’ কর্মসূচি পালন করে তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেন।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন চত্বরে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা সাজিদ হত্যার দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ‘কর্তাব্যক্তিদের চোখে আঙুল দিয়ে লাশ দেখানো’ শিরোনামে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
প্রশাসন ভবনের প্রধান ফটকের সামনে রক্তমাখা লাল রঙের কাফনে মোড়ানো একটি প্রতীকী লাশ বিছিয়ে রাখা হয়। দড়ি দিয়ে পথ আংশিকভাবে অবরুদ্ধ করে সেখানে প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড টাঙানো হয়। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল; ‘সাজিদ হত্যার দায় মাথায় নিয়ে প্রশাসনিক ভবন চালাচ্ছি’। কাফনের পাশে লাল রঙে রক্তের দাগ এঁকে ‘লাশ’ লেখা হয় এবং আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে প্রতীকী রক্তের দাগ দেখা যায়।
কর্মসূচিতে শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, “প্রশাসন ভবনে প্রবেশের আগে রক্ত মাখা কাফন টপকিয়ে অফিসে যেতে হবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। এ হত্যাকাণ্ডের দায় এড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। সাজিদ আব্দুল্লাহর হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার আহ্বায়ক এসএম সুইট বলেন, “হত্যাকাণ্ডের পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সিআইডি কিংবা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কার্যকর সমাধান করতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের প্রশাসনে থাকার নৈতিক অধিকার নেই। পাশাপাশি এই ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকেও পদত্যাগ করতে হবে।” তিনি দ্রুত বিচার নিশ্চিত না হলে গণআন্দোলনের মাধ্যমে বিচার আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, “সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যার পাঁচ মাস পার হলেও প্রশাসন ও সিআইডি আমাদের সঙ্গে বার বার নাটক ও টালবাহানা করছে। দফায় দফায় ১৫ দিন পর পর নাটকের মঞ্চ তৈরি করে আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। আমরা এই নাটক বন্ধ করে কঠোর কর্মসূচির দিকে এগোতে চাই।”
ঢাকা/তানভীর/জান্নাত