ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

লিপু হত্যা : তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ

মেহেদী হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১২, ২০ নভেম্বর ২০১৬   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
লিপু হত্যা : তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ

বিক্ষোভ মিছিল চলাকালীন একটি চিত্র

রাবি প্রতিনিধি : লিপু হত্যার এক মাসেও হত্যার কারণ উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। জমা পড়েনি ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনও।

 

এ ঘটনার পর লিপুর রুমমেট মনিরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বর্তমানে তিনিও আছেন জামিনে। কিন্তু ঘটনার পর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, মনিরুলের দেওয়া তথ্যে লিপু হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব।

 

সব মিলিয়ে তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লিপুর পরিবার ও সহপাঠীরা।

 

শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সামনে থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল থেকে এই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

 

মোতালেব হোসেন লিপু গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল।

 

লিপু হত্যার রহস্য এক মাসেও উদ্ঘাটন না হওয়ায় বিভাগের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের করেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

 

মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়। পরে সেখান থেকে লিপু হত্যার তদন্তে ধীরগতির অভিযোগ এনে দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচারের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

 

মানববন্ধনে লিপুর সহপাঠী হোসাইন মিঠু বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার জানানো হয়েছে লিপুর রুমমেট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এমনকি তার দেওয়া তথ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলেও জানানো হয়। কিন্তু এতদিন পরেও আমরা তদন্তে কোনো অগ্রগতি পাইনি। সেই রুমমেটও এখন জামিনে আছে।

 

লিপু হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করে আরেক সহপাঠী রাশেদ রিন্টু বলেন, হত্যার এতদিন হয়ে গেলো। এখন পর্যন্ত লিপুর হত্যায় জড়িতদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। পুলিশের কাছে জানতে চাইলে পুলিশ বলে, ‘সময় লাগবে’।

 

দ্রুত হত্যার তদন্ত শেষ করে আসামিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

 

এদিকে লিপুর বাবা মো. বদর উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন, আমাদের স্বপ্নটা শেষ হয়ে গেছে। আমরা জানতে চাই কি কারণে আমার সন্তানকে খুন করা হয়েছে। কি এমন করেছিল লিপু? কিন্তু এক মাস হয়ে গেল, মামলার অবস্থা কিছুই জানতে পারলাম না। তোমরা একটু দেখ বাবা। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। অতকিছু বুঝি না। লিপুর খুনিদেন যেন বিচার হয়।

 

উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন বিকেলে লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় লিপুর রুমমেট মনিরুলকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। পরে চারদিনের রিমান্ডে মনিরুলের দেওয়া তথ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল। পুনরায় রিমান্ড আবেদনও করা হয়। কিন্তু শুনানির আগেই গত ৮ নভেম্বর মনিরুল আদালত থেকে জামিন পায়।

 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, হত্যার কারণ বলার মতো এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। লিপুর রুমমেট মনিরুল কিছু তথ্য দিয়েছিল সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আবার তার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তার শুনানি ছিল ১৫ নভেম্বর। কিন্তু রিমান্ড শুনানির আগেই সে জামিন পায়।

 

 

রাইজিংবিডি/রাবি/২০ নভেম্বর ২০১৬/মেহেদী হাসান/রুহুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়