ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

যেভাবে পাল্টে গেল চিত্র

রুদ্র রোহান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৭ জুলাই ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
যেভাবে পাল্টে গেল চিত্র

বরগুনা সংবাদদাতা : বরগুনায় প্রকাশ্য দিবালোকে রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ এপর্যন্ত ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মিন্নি নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী ও এ মামলার প্রধান সাক্ষী। মঙ্গলবার বরগুনা পুলিশ লাইন্সে প্রায় ১০ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বলেন, ‘রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন মিন্নি। তার বক্তব্য রেকর্ড ও তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইন্সে আনা হয়।  তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে।’

পুলিশ সুপার জানান, ঘটনার পর থেকেই পুলিশ সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করতে থাকে।  মিন্নিকেও নজরদারিতে রাখে পুলিশ।  দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ ও অন্যান্য সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য-উপাত্তে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মিন্নির সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে এসেছে।  তাই হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মিন্নিকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

 

তিনি জানান, পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য বর্তমানে মিন্নিকে পুলিশ লাইন্সে রাখা হয়েছে।  তিনি আরো জানান, রিফাত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এর আগে ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  এর মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা রিমান্ডে রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ মামলার তদন্তের স্বার্থে আদালতে হাজির করে মিন্নির রিমান্ডের আবেদন করবে পুলিশ।  রিফাত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের কয়েকজনের বিরুদ্ধে মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ থাকলেও তদন্তে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে মাদকের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুন বরগুনার সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়।  রোমহর্ষক ওই হত্যাকাণ্ডের প্রথম ভিডিওতে রিফাত শরীফকে বাঁচাতে তার স্ত্রী মিন্নির প্রাণপণ প্রচেষ্টা প্রশংসিত হয়।  দেশজুড়ে ব্যাপক সমবেদনা তৈরি হয় তার জন্য।  কিন্তু সেই মিন্নিই এখন মামলার প্রধান সাক্ষী থেকে হয়ে গেলেন আসামি।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন দুপুরে ১২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন নিহত রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ।  তাতে প্রধান সাক্ষী করা হয়েছিল মিন্নিকেই।  কিন্তু পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসতে থাকে ভিন্ন কিছু।

আরো পড়ুন :

>> 

>> 

>> ‘প্রভাবশালীরা বিচারকে ভিন্ন খাতে নিতে চাচ্ছে’ (ভিডিও)

 

রাইজিংবিডি/বরগুনা/১৭ জুলাই ২০১৯/রুদ্র রোহান/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়