শরীয়তপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
শরীয়তপুর প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শরীয়তপুরে এক নারীকে (২৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণ এবং তার ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করে টাকা দাবি ও মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি মো. মারুফ খানকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন উত্তর নরসিংপুর এলাকা থেকে র্যাব-৮ এবং র্যাব-১১ এর যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মারুফ খান শরীয়তপুর সদর উপজেলার ধানুকা গ্রামের দক্ষিণ মধ্যপাড়া এলাকার রাজ্জাক খানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৮ এর মাদারীপুরের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন।
মামলার এজাহার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য অনুযায়ী, ভুক্তভোগী বিবাহিতা এবং দুই সন্তানের জননী। স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে মনোমালিন্য চলছিল। প্রায় তিন বছর আগে তার সঙ্গে সজিব গাজী (১৯) নামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ৯ ডিসেম্বর বিকেলে তারা মাদারীপুরে ঘোরাফেরা শেষে সন্ধ্যার দিকে শরীয়তপুরে ফেরার সময় বন বিভাগ কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি তাদের পরিচয় জানতে চেয়ে মারধর করে বন বিভাগের ভেতরের বাগানে নিয়ে যায়। সেখানে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করা হয় এবং তার সঙ্গে থাকা যুবককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে র্যাব-৮ এর অধিনায়কের নির্দেশনায় সিপিসি-৩, মাদারীপুর গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। বিশ্বস্ত সূত্র ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান শনাক্ত করে নারায়ণগঞ্জে যৌথ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি মারুফ খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে র্যাব-৮ মাদারীপুরের কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন বলেছেন, শরীয়তপুর পালং মডেল থানা থেকে আমাদের কাছে আবেদন আসলে আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ শুরু করি। এরপর র্যাব-১১ নারায়ণগঞ্জের একটি টিমকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন নরসিংহপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করি। পরে আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে পালং মডেল থানায় হস্তান্তর করি।
ঢাকা/আকাশ/রফিক