ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

না.গঞ্জে মার্চ মাসের বেতন মেলেনি বহু শ্রমিকের

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫০, ৯ এপ্রিল ২০২০   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
না.গঞ্জে মার্চ মাসের বেতন মেলেনি বহু শ্রমিকের

নারায়ণগঞ্জের গার্মেন্টস কর্মীদের অনেকেই এখনো মার্চ মাসের বেতন পাননি। আবার কর্মীদের বেতন না দিয়েই অনেক গার্মেন্টস কারখানা ৪৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শ্রমিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

তবে গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বিকেএমএই সভাপতির দাবি ৮৫ শতাংশ গার্মেন্টস কারাখানায় শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। বাকি বেতন আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে প্রদান করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফতুল্লার মল্লিকা অ‌্যাপারেলেন্স গার্মন্টস কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে শ্রমিকদের কারখানায় যেতে বলে। শ্রমিকো কারখানায় গেলে কৃর্তপক্ষ তাদের আইডি কার্ড রেখে দেয়। বেতন এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে দেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

মল্লিকা গার্মেন্টের শ্রমিক শাহাদত হোসেন জানান, গার্মেন্টস কারখানা বেতন দেবে বলে ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু তারা বেতন না দিয়ে আমাদের আইর্ডি কার্ড রেখে দিয়ে বলেছে মার্চ মাসের বেতন আগামী ২০ এপ্রিল দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ লকডাউন করার পর থেকে আমারা খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে বেঁচে আছি। এদিকে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষ আমাদের আইডি কার্ড রেখে দিয়েছে। এখন চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছি।’

আরেক শ্রমিক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা চাকরিসূত্রে নারায়ণগঞ্জে থাকি। স্থানীয় না হওয়ার কারণে সরকারি ত্রাণ পাচ্ছি না। এদিকে ঘরে খাবার নেই। তাই এই মুহূর্তে বেতনের টাকার খুবই প্রয়োজন।’

এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য মল্লিকা গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষের সাথে বার বার যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

বাংলাদেশ নিট ওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারাস এন্ড এক্সপোর্টার অ‌্যাসোসিয়েশন সভাপতি এ কে এম সেলিম ওসমান জানান, বিকেএমইএ সদস্যভুক্ত গার্মেন্টস কারখানার মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশ ফ্যাক্টরির মালিক শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করেছেন। বাকি যেসব ফ্যাক্টরি বাকি আছে তারা আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে বেতন পরিশোধ করবেন।

তিনি বলেন, ‘বিকেএমইএর বাইরে যেসব ফ্যাক্টরি আছে সেসব ফ্যাক্টরি মালিকদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।’

এদিকে খাদ্যসামগ্রীর দাবিতে নারায়ণগঞ্জ নতুন কোর্ট এলাকার সামনের প্রায় দুইশ’ মানুষ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। তাদের দাবি, সরকারি ছুটি ঘোষণার পর থেকে তারা কাজে যেতে পারছেন না। ঘরে কোনো খাবার নেই। সরকারিভাবে কোনো ত্রাণও পাননি। যে কারণে বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নেমেছেন।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা বারিক বলেন, ‘যারা ত্রাণ সামগ্রী পাননি তাদের তালিকা প্রস্তুত করে উপজেলা প্রসাশনের কাছে দিলে তিনি ত্রাণের ব্যবস্থা করবেন।’

ইউএনও নাহিদা বারিকের এমন আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বিক্ষোভকারিরা বাড়ি ফিরে যায়।


রাকিব/সনি

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়