পিঁড়িতে বসিয়ে চুল কাটেন নরসুন্দর ইয়াকুব-ওমর
আবু নাঈম || রাইজিংবিডি.কম
ইয়াকুব আলী এবং ওমর আলী দুই ভাই। পেশায় তারা নরসুন্দর। তাদের রয়েছে ভ্রাম্যমান সেলুন। এখনও তারা খোলা আকাশের নিচে পিঁড়িতে বসিয়ে কাস্টমারের চুল কাটেন।
আজ এ বাজারে, কাল ও বাজারে গিয়ে গিয়ে মানুষের চুল, দাড়ি, গোঁফ অল্প টাকায় কাটিয়ে দিনে যে টাকা উপার্জন হয় সেটুকু দিয়ে কোনো মতো সংসার চালান। আনন্দ-কষ্ট আর অভাব অনটনের মাঝেই তারা ধরে আছেন পৈত্রিক এই পেশা। তাদের মত আরো অনেকেই আগে ভ্রাম্যমান ভাবে খোলা আকাশের নিচে পিঁড়িতে বসিয়ে সেলুনের কাজ করতো।
সময়ের পরিবর্তনে সবার জীবন চিত্র বদলালেও পরিবর্তন হয়নি এই দুই ভাইয়ের। সবাই যখন নির্দিষ্ট ঘরে চাকচিক্যের সাথে আপন কর্মে ব্যস্ত তখনও ইয়াকুব-ওমর ধরে আছে পুরনো ঐতিহ্য।
সরেজমিনে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, খোলা আকাশের নিচে পিঁড়িতে বসিয়ে মানুষের চুল কাটছেন দুই ভাই। তাদের সাথে কথা হয় রাইজিংবিডির প্রতিবেদকের।
তারা জানান, বাবা মৃত ইদ্রিস আলীর কাছ থেকেই শেখা এই কর্ম। হাড়িভাসা ইউনিয়নের পাহাড়বাড়ি গ্রামে তাদের পৈত্রিক বাড়ি হলেও জায়গা সংকটে ছোট ভাই ওমর আলীকে থাকতে হচ্ছে গুচ্ছগ্রামে।
ইয়াকুব আলী বলেন, এখন আর আগের মত উপার্জন হয়না। একদিকে করোনাভাইরাসের কারণে কাস্টমার সংকট অন্যদিকে মানুষ আমাদের কাছে চুল, দাড়ির কাজ করাতে সংকোচ বোধ করে। তারপরও সেলুনের চেয়ে দাম কম হওয়ায় অনেকে আমাদের কাছে আসেন। এতে যা হয় তাই দিয়ে কোনমতে সংসার চলে।
কথা হয় চুল কাটতে আসা নায়েব আলী ও শুকুর আলীর সাথে। তারা বলেন, সেলুনে চুল কাটাতে ৫০ টাকা লাগে আর এখানে ৪০ টাকা হলে দাড়িসহ চুল কাটানো যায়।
ছোট ভাই ওমর আলী বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে মানুষজন তাদের সেলুনে আসা কমিয়ে দিয়েছে। কাজ না থাকায় আয় রোজগারও কম হচ্ছে।
আবু নাঈম/নাসিম
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন