শিমুলিয়ার আরেকটি ঘাট ভাঙনের মুখে, কাঁঠালবাড়ি নৌপথে চলছে ৫ ফেরি

মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের তিন নম্বর ফেরি ঘাট সংলগ্ন নয় একর জায়গা বিলীন হয়ে গেছে পদ্মার গর্ভে। তিন নম্বর ফেরি ঘাটটি ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে তিনটি কেটাইপ ও দুইটি ছোট ফেরিসহ পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে।

তিন নম্বর রো রো ফেরি ঘাট সংলগ্ন এলাকা জুড়ে বড় আকারে ভাঙনের মুখে পড়েছে শিমুলিয়া ঘাট।

এদিকে ঝুঁকি এড়াতে তিন নম্বর ফেরি ঘাটটি বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদিকে সকাল ৬টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট থেকে পাঁচটি ফেরি যানবাহন নিয়ে কাঠালবাড়ির উদ্যেশে রওনা হয়।

এর আগে গত জুলাই মাসে দুই দফার ভাঙনে চার নম্বর ফেরি ঘাট ভেঙে যায়। 

এবার নতুন ভাঙনে একটি হোটেল, পাবলিট টয়লেট, টিএর বিশ্রামাগার এবং পাশে থাকা ১০টি বসতবাড়ি বিলীন হয়ে যায়।

বিআইডব্লিটিএ জিওব্যাগ ফেলে ভাঙনরোধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। বিআইডব্লিটিএর প্রকৌশলী হারিছ পাটোয়ারী বলেন, এবারের ভাঙনে ঝুঁকির মধ্যে আছে রো রো ফেরি ঘাট।

এদিকে চ্যানেলের মুখের নাব্য সংকট কাটিয়ে সকাল থেকে সীমিত পরিসরে পাঁচটি ফেরি দিয়ে ঘাট চালু হয়েছে। পারাপারের অপেক্ষায় দুই ঘাটে আছে তিন শতাধিক গাড়ি।

এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র ড্রেজিং বিভাগের প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে নাব্য সংকট আর নেই। এই রুটে সকল ধরনের ফেরি চলাচল করতে পারবে।

বিআইডব্লিউটিসি’র উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম আরো জানান, নাব্য সংকটের কারণে সকাল থেকে ফেরী চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আবার সকাল ১০টার দিকে কে টাইপ ফেরি দিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। এ দিকে ঘাট এলাকায় শতাধিক যানবাহন রয়েছে পারাপারের অপেক্ষায়।