ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

পরিবারের ৩ সদস্য হত্যা: এক আসামির আদালতে দোষ স্বীকার 

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ৩১ অক্টোবর ২০২০   আপডেট: ১৯:০১, ৩১ অক্টোবর ২০২০
পরিবারের ৩ সদস্য হত্যা: এক আসামির আদালতে দোষ স্বীকার 

নিহত আসাদ মিয়া, তার স্ত্রী পারভিন ও ছেলে লিয়ন

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জামষাইট গ্রামে একই পরিবারের তিনজনকে হত‌্যা মামলার প্রধান আসামি দ্বীন ইসলাম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। 

আজ শনিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারক হাকিম আবদুন নূরের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।   

এর আগে দুপুর ৩টার দিকে দ্বীন ইসলামের সঙ্গে অন্য আসামি ও নিহত আসাদ মিয়ার মা কেওয়া খাতুন, বোন নাজমা বেগম ও ভাগ্নে আল-আমিনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। প্রধান আসামি দ্বীন ইসলাম নিহত আসাদ মিয়ার ছোট ভাই। পরে সকল আসামিকে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দ্বীন ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি একাই বড় ভাই মো. আসাদ মিয়া, ভাবি পারভিন ও তাদের আট বছর বয়সী ছেলে লিয়নের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাত দেড়টার দিকে তিনি শাবল হাতে ভাইয়ের ঘরে গিয়ে তিনজনকে হত্যা করেন। পরে ঘরের পেছনে বাঁশঝাড়ের কাছে তিনজনের লাশ মাটিচাপা দেন। 

পুলিশ সুপার মাশরুকুর রহমান খালেদ জানান, তিনজনের খুনের ঘটনায় বিস্তারিত তথ‌্য উদ্ঘাটনে দ্বীন ইসলাম ছাড়া গ্রেপ্তার বাকি তিন আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল রোববার (১ নভেম্বর) রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। 

এর আগে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে নিহত আসাদ মিয়ার বড় ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন, বাদীর চাচা দ্বীন ইসলাম, দাদী কেওয়া খাতুন, ফুফু নাজমা বেগম, তাসলিমা বেগম, ফুফা ফজলু মিয়া, ফুপাতো ভাই আল-আমিন, আজিজুল ইসলাম, মিজান মিয়া ও রায়হান মিয়া। এরমধ‌্যে লাশ উদ্ধারের দিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন‌্ চারজনকে আটক করা হয়।

নিহত আসাদ দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি গ্রামে ফিরে জামষাইট বাজারে প্লাস্টিক পণ্যের দোকান দেন। তার তিন ছেলে। ঘটনার দিন বড় ছেলে তোফাজ্জল ঢাকায় ছিলেন। আর দ্বিতীয় ছেলে মোফাজ্জল ছিলেন নানার বাড়িতে। বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সকালে নানা বাড়ি থেকে ফিরে মোফাজ্জল ঘরে কাউকে দেখতে পাননি। তবে ঘরে রক্তের দাগ চোখে পড়ে। তখন বিষয়টি তিনি পরিবারের সদস্যদের জানান।

মোফাজ্জল ঘরের পেছনে গিয়ে নতুন মাটি দেখে সন্দেহ হওয়ায় খুঁড়তে শুরু করেন। পুলিশ এসে রাত ১০টার দিকে ওই স্থান থেকে তিনজনের লাশ উদ্ধার করে। লাশ উদ্ধারের সময় দ্বীন ইসলাম বাড়িতে ছিলেন না। পরে উপজেলার মুমুরদিয়া বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়।

রুমন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়