ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

দিনাজপুরে শুরু ধান কাটা-মাড়াই, শ্রমিক সংকট

মোসলেম উদ্দিন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ১২ নভেম্বর ২০২০   আপডেট: ১০:৫২, ১২ নভেম্বর ২০২০
দিনাজপুরে শুরু ধান কাটা-মাড়াই, শ্রমিক সংকট

দিনাজপুর জেলায় শুরু হয়েছে আমন ধানের কাটা-মাড়াই। তবে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলার বাইরের ধান কাটা শ্রমিক না আসায় বেশি দামে স্থানীয় শ্রমিকদের নিতে হচ্ছে, তাও পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা।

সপ্তাহ ধরেই জেলার ১৩ টি উপজেলায় আমন ধানের কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। গেলো বর্ষায় নিচু জমির ধানগুলো মাটির সাথে পড়ে গেছে।  আবার কিছু জমিতে আক্রমণের শিকার হয়েছে পোকামাকড়ের। আর পোকার আক্রমণে ধানের কিছু ক্ষতি হয়েছে। তবে ধানের ফলন কম হলেও খড়ের চাহিদা থাকায় খড় বিক্রি করে ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন চাষিরা।

প্রতি বছর ধান কাটার মৌসুমে নীলফামারী, রংপুর, গাইবান্ধা থেকে ধান কাটা শ্রমিক আসে। এবার বাইরের শ্রমিকের দেখাই মিলছে না।

প্রায় সব জমির ধানই পেকে এসেছে। শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটা-মাড়াই করতে এবার স্থানীয় শ্রমিকদের বিঘা প্রতি ৪ হাজার টাকা দিতে হচ্ছে। যা গত আমন মৌসুমে ছিল ৩ হাজার টাকা।

স্থানীয় ধানকাটা শ্রমিক রাজু মিয়া বলেন, আমরা ৯ জন মিলে এক সাথে ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ করছি। দিনে ৩ থেকে ৪ বিঘা জমির ধান কাটছি। প্রতি বিঘায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা করে নিচ্ছি।

বিরামপুরের কেটরা গ্রামের বাদল মিয়া বলেন, আমি ১৮ বিঘা জমিতে আমন চাষ করছি। আমার কিছু জমির ধান কাটা শুরু করেছি। লোক সংকট থাকার কারণে বেশি দাম দিয়ে তা কাটা-মাড়াই করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, মাঠে ধান কেটে ৪ থেকে ৫ দিন ফেলে রাখি শুকানোর জন্য। পরে শুকিয়ে গেলে বাড়ির খোলায় নিয়ে মাড়াই করে ঘরে তুলি।

হিলি হরিহরপুরের কৃষক এনামুল হোসেন বলেন, ৬ বিঘা জমিতে আমন ধান লাগিয়েছি, ফলন ভাল হয়েছে। তবে পোকার আক্রমণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। ধানে পাক ধরেছে। বাহির থেকে আসা শ্রমিকরা এখনও আসতে শুরু করেনি। কিন্তু কি করার, ধান তো কাটতে হবে। তাই বাধ্য হয়ে বিঘাপ্রতি ৪ হাজার টাকা দিয়ে ধান কাটা-মাড়াই করছি।

বিরামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার নিক্সন চন্দ্র পাল বলেন, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করেছেন কৃষকেরা। কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। আশা করছি কৃষকেরা ভাল ফলন পাবেন।

হাকিমপুর উপজেলা কৃষি উপ-সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, এ উপজেলায় ৮ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে। মাঠে প্রায় ধানে পাক ধরেছে। কিছু ধান ক্ষেতে পোকার আক্রমণে শিকার হয়েছিল। তবে তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। 

এবিষয়ে দিনাজপুর কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক তৌহিদ ইকবাল জানান, জেলার ১৩ টি উপজেলায় আমন ধানের কাটা-মাড়াই শুরু হয়েছে। এইবার জেলায় মোট ২ লাখ ৬০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ হয়েছে।

দিনাজপুর/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ