ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

মৌলভীবাজারে বড় মাদক ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

সাইফুল্লাহ হাসান, মৌলভীবাজার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৪২, ১৫ জানুয়ারি ২০২১   আপডেট: ১৭:০৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২১
মৌলভীবাজারে বড় মাদক ব্যবসায়ীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে

সীমান্তবর্তী জেলা মৌলভীবাজারে মাদকের ব্যাপক ছড়াছড়ি। চাহিদা অনুযায়ী মেলে মাদকের সরবরাহ। অনেক তরুণ মাদকে আসক্ত। এমনকি কিশোরদের মধ্যেও মাদক সেবনের প্রবণতা বাড়ছে।

২০২০ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মৌলভীবাজারে ৮২৩টি মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৬০টি, ফেব্রুয়ারিতে ৪৮টি, মার্চে ৩৯টি, এপ্রিলে ১৫টি, মে মাসে ৬০টি, জুনে ৪৮টি, জুলাইয়ে ৪৯টি, আগস্টে ৮৯টি, সেপ্টেম্বরে ৮১টি, অক্টোবরে ৮৫টি, নভেম্বরে ৮৩টি ও ডিসেম্বরে ১৬৬টি অভিযান চালানো হয়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক মাদক পুনর্বাসন কেন্দ্রের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বড় মাদক ব্যবসায়ীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। যাদের আটক করা হচ্ছে, তারা মাদকসেবী ও সাধারণ খুচরা বিক্রেতা। যারা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন বা মূল পাচারকারী, তারা গ্রেপ্তার হচ্ছেন না। কেউ কেউ এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন। যারা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী, তারা এলাকাতেই আছেন।’

লেখক ও সমাজকর্মী অ‌্যাডভোকেট আবু তাহের বলেন, ‘মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিস শুধু গাঁজা, অবৈধ চোলাই মদ ও ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। ফেনসিডিল, হিরোইন ও বিদেশি মদসহ অন্য মাদকের বিরুদ্ধেও অভিযান চালাতে হবে। প্রভাবশালী মাদক ব‌্যবসায়ীদের ধরলে চুনোপুঁটিরা এমনিতেই ধরা পড়বে।’

জেলা যুবকল্যাণ সংস্থার সভাপতি আলিম উদ্দিন হালিম বলেন, ‘আমি নিজে প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ীদের নাম দিয়েছি কর্তৃপক্ষের কাছে। কিন্তু দেখা যায়, তাদের বিরুদ্ধে অভিযান তো হয়নি, বরং ওই মাদক ব্যবসায়ীরা অভিযোগের ব্যাপারে জেনে যায়।’

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হাবিব তৌহিদ ইমাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘বড় মাদক ব্যবসায়ীরা নিজে মাদক পরিবহন করেন না। শুধু চুনোপুঁটিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাই, তা নয়। যাদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধেই অভিযান চালাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘যারা মাদক পরিবহন করে, তারা ধরা পড়লে কখনোই স্বীকার করে না যে, এগুলো কার কাছ থেকে আনে। এ বিষয়ে তাদের মধ‌্যে গোপন চুক্তি থাকতে পারে।’

সাইফুল্লাহ/রফিক

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়