ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

৬ বছরের সন্তানকে বেধড়ক মার, ইউএনও’র কাছে ছুটে গেলেন মা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৬, ৪ মার্চ ২০২১  
৬ বছরের সন্তানকে বেধড়ক মার, ইউএনও’র কাছে ছুটে গেলেন মা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় কাওমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৬ বছর বয়সী শিশু শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ নিয়ে ইউএনও'র কাছে ছুটে গেলেন এক মা। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ইউএনও ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন।

মায়ের অভিযোগ, ৬ বছর বয়সী সন্তানটি মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে তার সঙ্গে দেখা করায় কাঠ দিয়ে বেধড়ক মেরেছেন ওই শিক্ষক। 

জানা যায়, গত সোমবার (১ মার্চ) ফারাকপুর ফজলুল উলূম কাওমিয়া মাদ্রাসার শিশু শিক্ষার্থী তার মায়ের সঙ্গে দেখা করে। মাদ্রাসা থেকে বের হয়ে দেখা করার অপরাধে মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আল আমিন ওই শিক্ষার্থীকে চেলা কাঠ দিয়ে বেধড়ক মারে। এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাল দাগ পড়ে ও ফুলে যায়। শিশুটির মা ছেলেকে এমন অমানবিক নিষ্ঠুর নির্যাতনের ঘটনা সহ্য করতে না পেরে মাদ্রাসায় যান।  সেখানে প্রতিকার না পেয়ে বুধবার (৩ মার্চ) ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফের কার্যালয়ে গিয়ে অভিযোগ করেন।

সবকিছু শুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাদ্রাসার সুপার রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সঞ্চয় ও ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম নজুসহ অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক আল আমিনকে ডেকে পাঠান। বুধবার বিকেলে ইউএনও কার্যালয়ে স্ব-শরীরে হাজির হয়ে ওই শিক্ষক ক্ষমা প্রার্থণা করলে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন ইউএনও।

ইউএনও সোহেল মারুফ বলেন, ফুলের মতো নিষ্পাপ শিশু তার পিতা ৫-৬ বছর যাবৎ অপ্রকৃতস্থ।  মা বড় আশা করে ছেলেকে ধর্ম শিক্ষার জন্য পাঠিয়েছেন মাদ্রাসায়। মায়ের সঙ্গে দেখা করার অপরাধে এ শিক্ষক তাকে চেলা কাঠ দিয়ে সারা গায়ে বেধড়ক পিটিয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, শিশুটির মা অভিযুক্ত শিক্ষককে ক্ষমা করায় তার বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এছাড়া মাদ্রাসার অন্য শিক্ষকদের কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

কাঞ্চন/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়