ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

চোর সন্দেহে মাদরাসা ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ২৩:৪৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১
চোর সন্দেহে মাদরাসা ছাত্রকে নির্যাতনের অভিযোগ

চোর সন্দেহে নাহিদ মিয়া (৯) নামে এক মাদরাসা ছাত্রকে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযাগ পাওয়া গেছে। এদিকে শিশু নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। শিশুটি স্থানীয় একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।

ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার ও স্থানীয় লোকজন  জানায়, ৫ থেকে ৬ বছর আগে শিশুটির বাবা সুবহান মিয়া ও তার স্ত্রী জীবিকার জন্য সিরাজগঞ্জ থেকে গাজীপুর আসেন। পরে সুবহান মিয়া স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ নেন। কয়েক মাস আগে নাহিদ গ্রাম থেকে মা-বাবার কাছে গাজীপুর চলে আসে।

রোববার সকাল ৭টার দিকে বাবা-মা কাজে যাওয়ার পর নাহিদ ঘুরতে ঘুরতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যায়। এক পর্যায়ে সে সড়কের পাশের রঞ্জিত মেডিক্যাল হল নামে একটি ওষুধের দোকানে প্রবেশ করে। ওই দোকান মালিক মিছির কুমার তখন বাইরে পানি আনতে যান। এ সময় ওষুধের দোকানের পাশের ভাই ভাই হার্ডওয়ার দোকানের মালিক আনোয়ার হোসেন চোর সন্দেহে শিশু নাহিদকে আটক করেন। পরে আনায়ার ও মিছির কুমার মিলে একটি খুটির সঙ্গে বেঁধে নাহিদের ওপর নির্যাতন চালায়।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর পুলিশর এসআই সুকান্ত বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু নাহিদকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান। নাহিদকে পরে তার বাবা মার কাছে হস্তান্তর করা হয়।

নির্যাতনের বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত ভাই ভাই হার্ডওয়ার দোকানের মালিক আনোয়ার হাসান বলেন, ‘আমি কারো কাছে জবাব দিতে বাধ্য না। ’

রঞ্জিত মেডিকেল হলের মালিক মিছির কুমার বলেন, ‘আমি পানি আনতে গেলে ওই শিশু আমার দোকানে প্রবেশ করে ক্যাশে হাত দেয়। কিন্তু টাকা চুরি করতে পারেনি। বিষয়টি টের পেয়ে তাকে সবাই মিলে বেঁধেছিল। তখন তাকে একটি চড় মারা হয়।’

কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটিকে বাঁধা অবস্থায় পাইনি।  তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। ওই শিশুকে নির্যাতনের কথা জানালেও তার মা-বাবা  অভিযাগ করতে রাজি হয়নি। পরে শিশুটিকে তার মায়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ‘

রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়