ঢাকা     বুধবার   ০৮ মে ২০২৪ ||  বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

জরাজীর্ণ ভবন, পাঠদান বন্ধ

কাঞ্চন কুমার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৪৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১   আপডেট: ০৯:৪৯, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১
জরাজীর্ণ ভবন, পাঠদান বন্ধ

হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় অবস্থিত। ১৯৮৫ সালে নির্মিত বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ভবনটি আরও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। এ কারণে দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সর্দার মোহাম্মদ আবু সালেক বিদ্যালয়টির ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পাঠদান বন্ধ করে দিয়েছেন।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। আর এই ভবনে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। জরাজীর্ণ ভবনটির নিচতলায় রয়েছে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়, শিক্ষক মিলনায়তন, দ্বিতীয় তলায় রয়েছে লাইব্রেরি, বিজ্ঞান ল্যাবসহ স্পোর্টস অফিস ও বিজ্ঞান বিভাগের ক্লাস রুম রয়েছে।

বিদ্যালয়ের সাত শতাধিক শিক্ষার্থী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে পড়ালেখা করছিলো। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ঝুঁকিমুক্ত নয় বিদ্যালয়ের কর্মচারীরাও। স্বল্প মাত্রার ভূমিকম্পে যে কোনো মুহূর্তে শতশত কোমলমতি শিক্ষার্থীর প্রাণ হানির আশঙ্কা করছে অভিভাবক ও বিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভবনের বেশ কয়েক জায়গায় আস্তরণ ঝরে গিয়ে লোহার রড দেখা যাচ্ছে। ১৩-১৪টি বড় ফাটলসহ শ্রেণি কক্ষের ছাদের বেশ অংশ ঝরে পড়েছে।

শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা জানান, বিভিন্ন সময় ছাদের অংশ বিশেষ ঝরে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীসহ শিক্ষক আহত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনে ক্লাস নিতে শিক্ষার্থীসহ আমরাও মারাত্মক শঙ্কায় থাকি। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের একটি একতলা বিশিষ্ট ভবনের উন্নয়নের কাজ চলছে যা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠানটিকে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা ছিলো। তবে আজও ভবনের কাজ শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

প্রধান শিক্ষক জানান, ভবনটিকে একতলা থেকে দ্বিতলে উন্নীত করা হয়েছে। যা কিছুটা হলেও বিদ্যালয়টির শ্রেণিকক্ষের চাহিদা পূরণ করবে। তবে কবে নাগাদ কাজ শেষ হবে তা জানেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

দৌলতপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সর্দার মোহাম্মদ আবু সালেক বলেন, ‘আমি গত কয়েকদিন আগে বিদ্যালয়টিতে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। বিদ্যালয়ের দ্বিতল বিশিষ্ট একটি ভবনের জরাজীর্ণ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে দেখে, আমি তা বন্ধ করে দিয়েছি। তাছাড়া তাদেরকে গ্রুপ করে ভালো রুমে ক্লাস করানোর নির্দেশ দিয়েছি। আরেকটি ভবনের উন্নয়নের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে তারা সেখানে ক্লাস করতে পারবে।’

দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ আহম্মেদ মামুন জানান, হোসেনাবাদ আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি ভবন ঝুকিঁপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেই ভবনে শ্রেণি পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে নতুন ভবনের কাজ চলছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যাতে দ্রুত সেই কাজ সম্পন্ন করে সেই বিষয়ে দ্রুত কথা বলা হবে।

কুষ্টিয়া/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়