‘নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা রেললাইনের বিষয়টি কুমিল্লার কেউ উত্থাপন করেননি

রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, ‘সরকারের নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত রেললাইন করার পরিকল্পনা আছে। গত তিন বছর আমি এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে আছি। কিন্তু কুমিল্লার কেউ নারায়ণগঞ্জ থেকে কুমিল্লা রেললাইন করার বিষয়টি উত্থাপন করেননি। প্রধানমন্ত্রী উন্নয়নে বিশ্বাসী। কুমিল্লার মানুষ চাইলে নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা রেললাইন হয়ে যেত। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দূরত্ব ৭০ কিলোমিটার কমে আসতো। ’

শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লাকসাম-আখাউড়া ৭২ কিলোমিটার ডাবললাইন ডুয়েলগেজ রেললাইন প্রকল্পের কুমিল্লা-লাকসাম অংশের ২৪ কিলোমিটারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর এক্সপ্রেস ট্রেনটির মাধ্যমে ডুয়েলগেজ রেলপথের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘কুমিল্লার মানুষ অনেক ভাগ্যবান। সারা পৃথিবীতে কুমিল্লার মানুষের বিচরণ রয়েছে। তারা চাইলে এক হয়ে কুমিল্লার উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে। আখাউড়া থেকে লাকসাম পর্যন্ত ৭২ কিলোমিটার ডাবললাইন ডুয়েলগেজের কাজ ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে। যার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি আরো বলেন, ‘সরকার সমন্বিত উন্নয়ন ব্যবস্থার উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করেছে। কারণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন মানে, সড়কপথের উন্নয়ন নয়।  যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন বলতে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বোঝানো হয়। তবে একটা শক্তি আছে, যারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়। তাদের সঙ্গে আজ কেউ নেই। তাদের রাজনীতি পরিহাসের বস্তুতে পরিণত হয়েছে।  

মন্ত্রী বলেন, ‘মিটারগেজ ট্রেনের প্রয়োজনীয়তা দিনদিন কমে আসছে। তাই সারাদেশের রেলপথকে ডুয়েলগেজে রূপান্তর করা হবে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার ডুয়েলগেজ লাইনের কাজ চলছে। চট্টগ্রাম থেকে দোহাজারী পর্যন্তও ডুয়েলগেজ করা হবে। ‘

রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. আবুল হাসেম, রেলপথ সচিব সেলিম রেজা, রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী সুবক্ত গিন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের প্রধান প্রকৌশলী গোলাম আহমেদ ও মন্ত্রীপত্নী শাম্মি আক্তার।