ঢাকা     শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

হাজতখানায় আসামির মৃত্যু, পুলিশ বলছে আত্মহত্যা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১২ ডিসেম্বর ২০২১   আপডেট: ২১:৪৪, ১২ ডিসেম্বর ২০২১
হাজতখানায় আসামির মৃত্যু, পুলিশ বলছে আত্মহত্যা

সাতক্ষীরায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) হাজতখানায় বাবুল সরদার (৫৫) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বলছে, তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, বাবলুকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের কোনও এক সময় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই শেখ সোহেল ও কনস্টেবল শরিফুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

নিহত বাবুল সরদার দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত জুড়োন সরদারের ছেলে।

সাতক্ষীরা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইয়াসিন আলম চৌধুরী জানান, বাবুল সরদার নামে ওই ব্যক্তিকে শনিবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে ৫০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে গোয়েন্দা পুলিশের লকআপে রেখে দেওয়া হয়। রোববার (১২ ডিসেম্বর) তাকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শনিবার দিবাগত রাতের কোনও নিজের কোমরে থাকা সুতালি (রশি) দিয়ে গেটের গ্রিলের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।

বাবুল সরদারের মেয়ে সুলতানা মুন্নি অভিযোগ করে বলেন, শনিবার সকালে বোরকা পরা এক নারী আকস্মিকভাবে আমাদের বাড়িতে ঢুকে বাবার ঘরে ফেন্সিডিল রেখে গোয়েন্দা পুলিশকে ইশারা করে। সঙ্গে সঙ্গে তারা বাবাকে ওই ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার দেখায়। এসময় ঘরে থাকা ৩৬ হাজার টাকাও নিয়ে যায় তারা।

মুন্নি আরও বলেন, আমার বাবা কোমরে কখনও সুতালি (রশি) ব্যবহার করতেন না। তাহলে তিনি কিভাবে লকআপের মধ্যে আত্মহত্যা করলেন? গেটের গ্রিলের সাথে সুতালিতে ঝুলে কখনও আত্মহত্যা করা সম্ভব? পুলিশ তাকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।

বাবুল সরদারের ছেলে আলমগির হোসেন বলেন, আমার বাবাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ৫০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় বাড়িতে থাকা ৩৬ হাজার টাকাও নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের মারধরে আমার বাবা মারা গেছেন। এখন আবার নাটক করে বলছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ফেন্সিডিলসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি নিজের কোমরে থাকা রশি পেঁচিয়ে লকআপের গ্রিলে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। পরে ম্যাজিস্ট্রেট আকতার হোসেন ও মেডিকেল অফিসার ডা. জয়ন্ত কুমারের উপস্থিতিতে লাশ নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় পুলিশের এএসআই শেখ সোহেল ও কনস্টেবল শরিফুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শাহীন/কেআই

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়