ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হাসপাতালে চাপ বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:২৫, ৩ এপ্রিল ২০২২  
হাসপাতালে চাপ বেড়েছে ডায়রিয়া রোগীর

মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। ছবি: রাইজিংবিডি

হঠাৎ করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও স্বজনরা।

সরেজমিন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। বেডের চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীদের। মাদারীপুরের সিভিল সার্জন মনে করছেন, আবহাওয়া জনিত কারণে হঠাৎ করেই রোগী বেড়েছে।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য শয্যা রয়েছে ৬টি। অথচ গত শুক্রবার ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে ৮৮জন। শনিবার বেলা ১২টা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছে ২২জন। বৃহস্পতিবার চিকিৎসা নিয়েছে ৬৭ জন, বুধবার রোগীর সংখ্যা ছিলো ৮১জন, মঙ্গলবার ছিলো ৬২জন, সোমাবর ৫৯, রোববার ছিলো ৬৪জন।

এর মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগই শিশু। রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় বেড না থাকায় মেঝে ও হাসপাতালের বারান্দায় রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালের বারান্দায় নেই বিদ্যুৎ। পর্যাপ্ত টয়লেটও নেই। এসব কারণে রোগীদের নিয়ে পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১০০ শয্যার মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিক, গাইনিসহ ১০০টি শয্যায় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে চিকিৎসক সংকটের জন্য ঠিকমতো সেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন রোগীর স্বজনরা। এছাড়া হাসপাতালের পরিবেশও ভালো না বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকায় থেকে এসেছেন খাদিজা বেগম। তার ৬ মাসের শিশু সন্তান পাতলা পায়খানা করছে। গ্রাম্য ডাক্তার কোনও সমাধান দিতে না পারায় হাসপাতালে আসতে হয়েছে। বেড না পেয়ে বারান্দার ফ্লোরে অবস্থান করতে হয়েছে।

সদর উপজেলার কুলপদ্বি এলাকা থেকে এসেছেন সোলায়মান (৩০) নামে এক রোগী। তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাতে এসেছি। তবে সকালেও কোনও ডাক্তার আসেননি। নিচে ফ্লোর করে মাকে নিয়ে আছি।

রহিমা নামে এক রোগী জানান, হাসপাতালে এসেছি সুস্থ হওয়ার জন্য। কিন্তু এখানে যে অবস্থা, হাসপাতালে এসে বেড পাইনি। চাদর বিছিয়ে মেঝেতে শুয়েছি। দুটি মাত্র টয়লেট রয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. মুনির হোসন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া রোগী বেড়েছে। আমরা ডায়রিয়া রোগীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছি। 

/বেলাল/এসবি/

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়