ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

বন্যায় বিপর্যস্ত হাওরবাসী, ২৮ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৯, ২০ মে ২০২২  
বন্যায় বিপর্যস্ত হাওরবাসী, ২৮ বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

ছবি: রাইজিংবিডি

ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। পানিবন্দী হয়েছে জেলার কয়েক হাজার মানুষ।

সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার, দিরাই ও শাল্লা উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তা-ঘাট ভেঙে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে অনেক উপজেলার।

এদিকে, ছাতক-সুনামগঞ্জ সড়কের দোয়ারাবাজার উপজেলার দোয়ালিয়া ইউনিয়নের প্রতাবপুর সেতু ভেঙে গেছে।

শুক্রবার (২০ মে) সকালে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া জেলার যাদুকাটা, মহাসিং, মনু, ধলাই, পিয়াইনসহ বিভিন্ন শাখা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

শহরের নবীনগর, তেঘরিয়া, উত্তর আরপিননগর, বড়পাড়া, নতুনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশ করে সড়কে হাঁটু পানি পর্যন্ত হয়েছে। শহরবাসীও ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না।

স্থানীয়রা জানান, দিন দিন খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতি, সেই সাথে টানা বজ্রপাতে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে মানুষের মধ্যে সেই সাথে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। এছাড়া ঘরে-বাইরে পানি থাকায় অনেকেই নিজের ভিটা ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্কুলগুলোতে।

এদিকে, ঢলের পানির স্রোতে মিনিটেই ভেঙে নিয়ে যায় দোয়ারাবাজার উপজেলা দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল ব্রিজসহ সড়ক। এতে করে জেলা সদরের সাথে ছাতকের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। ঘরে-বাইরে পানি থাকায় কষ্টে আছেন হাওরবাসী।

জানা গেছে, ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জ সদরের ১৮টি, ছাতক উপজেলার ১৭২টি, দোয়ারাবাজার উপজেলার ২৪টি, তাহিরপুর উপজেলার পাঁচটি ও শান্তিগঞ্জ উপজেলাসহ জেলার মোট ২২০টি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। বিদ্যালয়ে হাঁটু পানি থাকায় জেলার ২৮টি বিদ্যালয় সাময়িকভাবে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ সদর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল সিদ্দিক বলেন, সব নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টা ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্চিতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে। তবে ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টিপাত বন্ধ না হলে জেলার বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবকটি উপজেলায় বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে শুকনো খাবার, নগদ টাকা ও চাল বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।

/আল আমিন/সাইফ/

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়