রাইজিংবিডির সংবাদে মালেকা পেলেন উপহার
মো. মামুন চৌধুরী, হবিগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

মালেকাকে উপহার দেন আব্বাস উদ্দিন তালুকদার
গত ৭ জানুয়ারি রাইজিংবিডি ডটকমে ‘শরীরে না মানলেও ভিক্ষায় যেতে হয় মালেকাকে’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর মালেকা খাতুন পেয়েছেন উপহার।
রোববার (৮ জানুয়ারি) সকালে জেলার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন তালুকদার বৃদ্ধা মালেকা খাতুনকে একটি কম্বল ও ইনহেলার উপহার দেন। মালেকা খাতুন উপহার পেয়ে কাউন্সিলর আব্বাস উদ্দিন তালুকদারের প্রতি কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন। সেই সাথে তাকে নিয়ে মানবিক সংবাদ প্রকাশ করায় রাইজিংবিডি ও তার প্রতিবেদক মো. মামুন চৌধুরীকে ধন্যবাদ জানান।
জানা গেছে, বৃদ্ধা মালেকা খাতুনের নিজস্ব জমিজমা নেই। তাই হবিগঞ্জ সদর উপজেলার গয়েবপুর গ্রামের হারুন সরদারের জমিতে একটি ঝুপড়ি ঘর তৈরি করে বসবাস করেন। আর জীবিকা নির্বাহে প্রচণ্ড শীতের সকালে ঘর থেকে ভিক্ষার জন্য বের হতে হয় তাকে। এর মধ্যে শরীর ভালো না থাকায় প্রতিদিন ভিক্ষা করতে পারেন না।
জেলার শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে ভিক্ষা করাকালে মালেকা খাতুনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি জানান, তার স্বামী আইন উল্লাহ মারা গেছেন বহু আগে। একমাত্র ছেলে এখলাছ মিয়ার ৪ সন্তান ও স্ত্রী রয়েছে। অসুস্থতার কারণে ছেলে এখলাছ মিয়া কাজে যেতে পারছে না। এ অবস্থায় জীবিকার নির্বাহে মালেকা খাতুন ভিক্ষা করছেন। এতে কখনো ১০০ আবার কখনো ২০০ টাকার মতো পাওয়া যায়। এ অবস্থায় খুব অভাবে দিন কাটছে। এর মধ্যে তার (মালেকা খাতুন) হাঁপানী রোগের জন্য মাসে ৪টি ইনহেলার ক্রয় করতে হয়। তাই খাদ্য ক্রয়ের আগে তাকে ইনহেলার টাকা উপার্জন করতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, প্রচণ্ড এ শীতের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে নেই গরম কাপড়ও। অনেক চেষ্টার পর একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড পেয়েছেন। এ ভাতার টাকায় হয় না। সরকারি ঘরের জন্য আবেদন করেও লাভ হয়নি। দেওয়া হয়নি জমিসহ সরকারি উপহারের ঘর। সরকারের কাছে দাবি দ্রুত যেন তাকে আর্থিক অনুদান ও জমিসহ একটি সরকারি ঘর উপহার দেওয়া হয়।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বদরুল করিম দুলাল বলেন, সরকারি ঘরের জন্য ওই নারী আমার কাছে আসেনি। আসলে গুরুত্ব দিয়ে তাকে সার্বিকভাবে সহায়তার করার আপ্রাণ চেষ্টা করা হবে।
/মামুন/সাইফ/
আরো পড়ুন